পাবনায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 25th, January 2025 GMT
পাবনার আতাইকুলায় মিছিল করায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আতাইকুলা থানার ওসি সালাউদ্দিন কাদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আতাইকুলা থানার দুবলিয়া ক্যাম্পপাড়া গ্রামের শাজাহান খানের ছেলে শাওন রেজা খান (৩২), নতুনপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩১), শ্রীকোল গ্রামের মুনু ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩১), একই গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে তপু রায়হান (৩৫), বিল্লাল মৃধার ছেলে শাকিল মৃধা (১৭)।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় রেললাইনের পাশে মরদেহ
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড আবরারের ঘটনাকেও হার মানায়
আতাইকুলা থানার ওসি সালাউদ্দিন কাদের জানান, গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আতাইকুলার শ্রীকোল বাজার থেকে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি শ্রীকোল ব্রিজের কাছে গিয়ে শেষ হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযানে নামে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত আতাইকুলা থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সংঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।