চুরির উদ্দেশ্যেই সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন শরিফুল ইসলাম। চুরি করে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছে ছিল। পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

মুম্বাই পুলিশ জানায়, বাংলাদেশের নাগরিক শরিফুল পাঁচ মাস আগে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। তিনি মুম্বাইয়ের এক হোটেলে কাজ নেন। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর তার কাজ চলে যায়। সাইফের বাড়িতে চুরি করে বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা ছিল তার।

সাইফের উপরে হামলার পরে বান্দ্রা স্টেশন থেকে চার্চগেটগামী ট্রেনে ওঠেন শরিফুল। তারপর দাদার স্টেশনে গিয়ে নামেন তিনি। ওরলিতে পৌঁছানোর পর জানতে পারেন হামলার ঘটনার খবর সম্প্রচারিত হয়ে গিয়েছে। শরিফুল তখন তার চেহারা বদলানার সিদ্ধান্ত নেন এবং একটি সেলুনে গিয়ে নিজের চুল কাটান।

পুলিশের জেরায় শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভাবের কারণে সাইফের বাড়িতে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে তিনি কারও ক্ষতি করতে চাননি। তাই পুলিশকে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাইফ-করিনার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন শরিফুল। তার উদ্দেশ্য ছিল, এক কোটি টাকা আদায় করা। কিন্তু তিনি ধরা পড়ে যান। বাধা দিতে এলে সাইফের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। একের পর এক ছুরিকাঘাত করেন অভিনেতাকে। ঘটনার তিন দিনের মাথায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তার কাছে বাংলাদেশি ভোটার কার্ড পাওয়া যায়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ