সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘অবৈধ জ্বালানি’ বহনকারী তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করল ইরান, রয়েছেন বাংলাদেশি ক্রু
ওমান উপসাগরে ৬০ লাখ লিটার ‘চোরাই ডিজেল’ বহনকারী একটি বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করার দাবি করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। ওই জাহাজে বাংলাদেশি কয়েকজন ক্রু রয়েছেন বলে ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে।
ব্যাপক ভর্তুকি ও জাতীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে ইরানে জ্বালানির দাম বিশ্ববাজারে এখন সবচেয়ে কম। ফলে অন্য দেশে তা পাচার করা অত্যন্ত লাভজনক। এ কারণে দেশটি স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ও সমুদ্রপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি পাচার রোধে লড়াই করছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইআরআইবি তাদের ওয়েবসাইটে ট্যাঙ্কারটির নাম বা এটি কোন দেশের সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি।
ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ জন ক্রু ছিলেন। তবে কতজন বাংলাদেশি ক্রু রয়েছেন, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
ফার্স নিউজ এজেন্সি হরমোজগান প্রদেশের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ওমান সাগরের উপকূলের কাছ থেকে চোরাচালানের ডিজেল জ্বালানি বহনকারী তেল ট্যাঙ্কারটিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
জাহাজটির সব নেভিগেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
ইরানি বাহিনী নিয়মিতভাবে এমন জাহাজ আটক করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দাবি করে, উপসাগরে অবৈধভাবে জ্বালানি পরিবহনের জন্য এসব জাহাজ জব্দ করা হয়।
গত মাসে ‘অননুমোদিত পণ্য বহন করার অভিযোগে’ ইরান উপসাগরীয় জলসীমায় একটি তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল। তারা দাবি করেছিল, এটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নয়।
সর্বশেষ এই জাহাজ আটকের ঘটনাটি ঘটল যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে একটি তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করার দুই দিন পর।
ওয়াশিংটন দাবি করেছে, সেই জাহাজটির ক্যাপ্টেন ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে তেল পরিবহন করছিলেন। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে কথিত সম্পর্ক রাখার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি ২০২২ সালে ভেনিজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।