কারাগারে বন্দি করে রাখা হয় অপরাধীদের। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী তাদের কারাবাসের সময় নির্ধারণ করে দেন আদালত। কারাগারে তাদের নিরাপদ রাখতে ও আলোর পথ দেখাতে নেওয়া হয়েছে কল্যাণমুখী উদ্যোগ। এরমধ্যে রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ, পাঠাগার স্থাপন, মাদকাশক্তি নিরাময়, অপরাধ প্রবণতা হ্রাস, খেলাধূলা, সবজি ও ফল চাষ, ভালো কাজে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মতো কর্মকাণ্ড।

অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের প্রত্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থাপিত ‘ইহসান বেকারিতে’ রুটি, বিস্কুট, কুকিজ ও কেকসহ বেকারি সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ফিতা কেটে কারা অভ্যন্তরে এ বেকারির উদ্বোধন করেন। এখানে বেকারিপণ্য তৈরিতে দক্ষ মহিদুল ইসলামের কাছে কারাবন্দিরা কাজ শিখছেন। উৎপাদিত পণ্য থেকে আয়ের অংশ পাবেন করাবন্দিরা।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার আল আমিন মোল্লা জানান, অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি, প্রবেশন অফিসারের কার্যালয় গোপালগঞ্জের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আধুনিক ওভেন, মিক্সার মেসিনসহ প্রয়োজনীয় সব মেসিনে পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, কুকিজসহ মানসম্পন্ন বেকারি সামগ্রী প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য মানবদেহের জন্য নিরাপদ। খেতে মজাদার ও মুখরোচক।

আরো পড়ুন:

শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শাহজাহান কারাগারে

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, কারাবন্দিদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির জন্য কারাগারে বেকারি স্থাপন করা হয়েছে। কারাবন্দিরা বেকারি সামগ্রী উৎপাদনের কাজ শিখছেন। পাশাপাশি উৎপাদিত পাউরুটি, বিস্কুট, কুকিজ, কেক গোপালগঞ্জে বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে আয়ের অংশ তারা পাবেন।

তিনি আরো জানান, কাজ শিখে কারাবন্দিরা দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তারা বেকারি স্থাপন বা বেকারিতে কাজ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এতে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। কারগার থেকে বের হয়ে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস পাবে। পরিবার-পরিজনের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, এ বেকারিতে উৎপাদিত পণ্যে ক্ষতিকারক উপকরণ ব্যবহার করা হয় না। মান নিয়ন্ত্রণ করে সবসময় গুণগত মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করা হয়। এ কারাগার বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য গোপালগঞ্জবাসীর কাছে দ্রুত সমাদৃত হবে। পাশাপাশি কারাবন্দিরা এখানে কাজ করে অর্থ উপার্জন এবং দক্ষতা আয়ত্ত করবেন। এতে কারাগারে বেকারি স্থাপনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হবে।
 

ঢাকা/বাদল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎপ দ ত প গ প লগঞ জ অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ