মোংলায় বিএনপির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, আহত ৪
Published: 25th, January 2025 GMT
মোংলায় ভোটের মাধ্যমে বিএনপির পৌর কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় যৌথ বাহিনী ও পুলিশ। ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো.
এদিকে কমিটি গঠনের লক্ষে ভোটের শেষ পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় দলীয় ক্যাডাররা।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা নাসির আহমেদ মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এজন্য দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী দায়ী। এই ওয়ার্ডে ফের ভোট হবে।
মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান সন্ধ্যায় জানান, হামলা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা
জেলা প্রশাসক থেকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কসবা প্রেস ক্লাবের চার শতক জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুললেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সাংবাদিক কার্তিক কর্মকারের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনা হয়। কার্তিক কর্মকার আরও দুই শতক জমি দান করেন। ২০১৭ সালে ২৪ মে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দেন। ২০২২ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা প্রেস ক্লাবকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা নান্দনিক প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে পৌরসভা থেকে মাটি পরীক্ষা, ভবনের নকশাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর আলম লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই জমি ঘিরে থাকা ২৪টি বাউন্ডারি পিলার ভেঙে রড, সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটসহ ১০-১১ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। সেখানে ভবনের কাজ শুরু করতে চাইলে প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে কসবা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমকে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়েও জাহাঙ্গীর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর তুলেছেন।
কসবা থানার ওসি আবদুল কাদিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি রাজি হননি। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকেও জানানো হয়েছে। এর পরও তিনি কথা শোনেননি। উল্টো পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম স্বপন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আরও অনেকের জায়গা দখল করে বিএনপির মুখে চুনকালি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
কসবা-আখাউড়ার বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, ভূমিদস্যূ ও জুলুমবাজদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা বিএনপির নাম বিক্রি করে ফায়দা লুটছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।