রাজাপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিমের পদ স্থগিত
Published: 25th, January 2025 GMT
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। সেই সঙ্গে তাকে বিএনপির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.
এ ব্যাপারে নাসিম আকন বলেন, ‘আমাকে শোকজ করা হয়েছিল। আমি তার জবাব দিয়েছি। এখন যদি আমাকে দলীয় পদ থেকে স্থগিত রাখে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ।’
এর আগে ৮ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অভিযোগে নাসিম উদ্দিন আকনকে শোকজ করে বিএনপি। শোকজের ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকির বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আপনার (নাসিম আকন) নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে কেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার জবাব তিন কার্যদিবসের মধ্যে চাওয়া হয়েছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’