যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

২০২৩ সালে গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে এই চারজনকে বন্দি করা হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জিম্মি চারজনকে তাদের সামরিক পোশাক পরিয়ে আনা হয়েছিল। তাদের রেড ক্রস সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  চার নারীকে বহনকারী গাড়িটি গাজা ছেড়ে গেছে।

শুক্রবার হামাস জানিয়েছিল, তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে জিম্মি থাকা চার ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে। 

ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটি দ্বিতীয় দফার জিম্মি মুক্তি। পরের পদক্ষেপ হিসেবে এখন ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ইসরায়েলের।

তিন দেশের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের পর্ব অনুসারে, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি

আজ রাতে তেহরানে ইরানি ক্লাব ইসতেগলালের মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের আল নাসর। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগের এই ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলছেন না। গতকাল আল নাসর ইরানে পৌঁছালেও রোনালদো যাননি।

কেন যাননি, এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোনো গণমাধ্যম বলছে, ইরানে গেলে ৯৯ দোররা ভোগ করতে হতে পারে, কেউ বলছে তেহরানে রোনালদোর নিরাপত্তার শঙ্কা আছে। আবার চোটের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

রোনালদো সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন শনিবার সৌদি প্রো লিগে আল-ওরোবাহর বিপক্ষে। সাধারণত, রোনালদোর মতো তারকারা বিভিন্ন কারণে লিগের ম্যাচ মিস করলেও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা মিস করতে চান না। আর এবারের প্রো লিগে অবস্থান ভালো না থাকায় (চতুর্থ) এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগেই বেশি মনোযোগ আল নাসরের। তার ওপর প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা বলে রোনালদোর মতো তারকাকে দলে পেতে চাইবেন যেকোনো কোচই।

এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের জন্য আল নাসর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্কোয়াড প্রকাশ করেছে, সেখানে রোনালদোর নাম নেই। কেন নেই—এ বিষয়ে মার্কাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে ৯৯ দোররার কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পারসেপোলিসের বিপক্ষে আল নাসরের হয়ে খেলতে তেহরানে গিয়েছিলেন রোনালদো। ওই সময় সেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার এক নারী চিত্রশিল্পীকে জড়িয়ে ধরতে ও চুমু খেতে দেখা গেছে রোনালদোকে। এ ঘটনার ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুনরোনালদো ভুল সময়ে জন্ম নিয়েছে—বললেন দি মারিয়া১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কার খবরে বলা হয়, ইরানের আইন অনুসারে রোনালদোর ওই ঘটনা ‘ব্যভিচার’ হিসেবে পরিগণিত। যার শাস্তি ৯৯টি বেত্রাঘাত বা দোররা। ২০২৩ সালের ওই ঘটনার শাস্তি হতে পারে বলে রোনালদো সেখানে যাননি। তবে এ বিষয়ে কোনো সূত্রের উল্লেখ করেনি মার্কা।

আল নাসর এবারের ম্যাচটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের অনুরোধ করেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কাছে, তবে সংস্থাটি তাতে রাজি হয়নি বলেও খবরে বলা হয়েছে।

দলের অন্যদের সঙ্গে তেহরানে যাননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
  • জমি হারানোর ভয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার
  • মাদক মামলায় খালাস পেলেন ডা. ঈশিতা
  • ৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি
  • স্বামী-স্ত্রী মিলে করেন জাল টাকার ব্যবসা
  • সাবেক মন্ত্রীর বান্ধবীসহ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা 
  • আবাহনীতে ব্রাজিলিয়ান, কিংসে আর্জেন্টাইন
  • সুমাইয়ার আর কেউ রইল না
  • গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুই বছর পূর্তিতে বিক্ষোভ, ধরপাকড়
  • আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোতে কি নেইমার খেলবেন