শেরপুরের গারো পাহাড় সীমান্তে চার সাংবাদিকের ওপর চোরাকারবারিদের হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে শেরপুর প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চোরাকারবার সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক হামলার শিকার হন। তাদের বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্তরা হলেন, শেরপুর প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান রিপন ও দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি শফিউল আলম সম্রাট।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে শ্রীবরদী থানায় মামলা করা হয়। তবে অভিযুক্ত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

আরো পড়ুন:

খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন হাসান হাফিজ 

সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
‘ভোরের কাগজ খুলে দিন’

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, স্থানীয় সাংবাদিককেরা উপস্থিতি ছিলেন।

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ