যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, এক ঘণ্টার মধ্যে মতিঝিল থেকে পল্লবী স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এ কারণে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল ট্রেনগুলো। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এরপর সোয়া ১টার দিকে মেট্রোরেল চলাচলে ফের বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টাখানেকের মতো বন্ধ থাকার পর আড়াইটার দিকে মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত আবারও মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তবে, উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী ট্রেন এখনো স্বাভাবিক শিডিউলে ফেরেনি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শেষ ট্রেনটি উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে মতিঝিল যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়।

ট্রেনটি ছাড়ার পর উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের আগে মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে বন্ধ থাকার পর ট্রেনটিকে পুনরায় উত্তরা সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেন খালি রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ