চট্টগ্রামে ডিজিএফআই পরিচয়ে ফ্ল্যাটে ডাকাতি, আটক ১২
Published: 25th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ডাকাতির সময় ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে সানমার রয়্যাল রিচ বিল্ডিংয়ের অষ্টম তলায় যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেদেরকে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি শাবল, নয়টি ডিজিএফআইর ভুয়া পরিচয়পত্র, তিনটি খেলনা পিস্তল, ২৫টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা, দুইটি দঁড়ি ও দুইটি গামছা ও একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ জন ডাকাত দুটি মাইক্রোবাসে করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলশী থানাধীন দক্ষিণ খুলশী ৩ নম্বর রোডের সানমার রয়েল রিজ অ্যাপার্টমেন্টে আসে। তারা নিরাপত্তাকর্মীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। সেই সঙ্গে তারা তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং সিসিটিভির হার্ডডিস্কও নিয়ে যায়। ডাকাতরা ইন্টারকম সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এরপর ডাকাত দলটি গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটে ঢুকে মালামাল লুটের চেষ্টা করে। তারা যখন সিন্দুক ভাঙার চেষ্টা করছিল, তখন প্রতিবেশীরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং ভবনে অভিযান চালিয়ে ১২ জন ডাকাতকে আটক করে। এ সময় তিনজন পালিয়ে যান।
আটক ১২ জন হলেন- মো.
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান কাওসার বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে যে ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন পেশায় জড়িত। তাদের সহযোগীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইস উদ্দিন জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সানমার রয়্যাল রিচ বিল্ডিংয়ের অষ্টম তলায় যমুনা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাট প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১২ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
রইস উদ্দিন আরও বলেন, এ ঘটনায় অ্যাপার্টমেন্ট মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পরে তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি
কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর এবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ভারতের সামরিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি বরাবর পাকিস্তানি সেনারা ভারতের কয়েকটি পোস্টে গুলি চালায়। এর জবাবে ভারতও গুলি চালায়।
নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঠিক জবাব দিয়েছে জানিয়েছে সূত্র আরও জানায়, ছোট অস্ত্র দিয়ে কিছু জায়গায় গুলি চালানো হয়েছিল। এ গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ‘শক্ত ও স্পষ্ট জবাব’-এর কথা বলেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। চলছে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা।