কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার সকালে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা গেছে তাঁকে। সেখানে টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘুরে দেখেন তিনি। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসার খবর পেয়ে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহসহ নেতাকর্মীরা সেখানে যান। এ সময় টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টানাপোড়েনের মাঝে কক্সবাজারের টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দেশজুড়ে।

জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মহাসচিবের সাক্ষাৎ হয়েছে। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পাশাপাশি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সমুদ্র সৈকতে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোজঁখবরও নিয়েছেন। 

বিএনপির পক্ষ থেকে এই সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু না জানানো হলেও দলটির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, এটি মহাসচিবের ব্যক্তিগত সফর। তিনি পরিবারের সঙ্গে অবকাশযাপনে এসেছেন।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!

বাড়িটি ঘিরে রেখেছে মৌমাছির ছোট বড় অনেকগুলো মৌচাক। বারান্দাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে ২৩টি মৌমাছির বড়বড় চাক। এসব মৌমাছি বছরের আটমাস ধরে থাকে বাড়িটিতে। বাড়িটি এখন এলাকায় মৌমাছি বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

কেউ মৌমাছি দেখতে, আবার কেউবা ছবি তুলতে যান বাড়িটিতে। পরিবারের সদস্যদের মতোই মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে মৌমাছি। প্রাকৃতিকভাবে বনের মৌমাছি আর পরিবারটির সদস্যদের মাঝে এই ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে ছয় বছর আগে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেখ পাড়া খানপুর গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন নিজ বাড়িতে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন মৌমাছির ২৩টি দলকে। পরিবারটির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে কয়েক লাখ মৌমাছি। 

আলমগীর হোসেন বলেন, “ছয় বছর আগে হঠাৎ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে সাত-আটটি চাক তৈরি করে মৌমাছির দল। এরপর থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে চলে আসে এবং চাক তৈরি করে।” 

তিনি আরও বলেন, “দোতলা বাড়ির বারান্দা, দেওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে চাক তৈরি করে মৌমাছিরা। বছরান্তে চাকের সংখ্যা বাড়ছে। এবার ২৩টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। আমাদের পরিবারেরই অংশ তারা। মৌমাছির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা মিশে গেছে। আমার বাবা বেশিরভাগ সময় তাদের দেখাশোনা করে। তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিনা দেখে, আমিও দেখি। মৌমাছিরাও কাউকে হুল ফোটায় না।”

তিনি বলেন, “প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসে মৌমাছি গুলো। এভাবে চলছে গত ছয় বছর ধরে। আট মাসে দুইবার মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মধু বিক্রি হয়।”

আলমগীরের ফুফু আছিয়া খাতুন বলেন, “প্রথম দিকে ভয় পেলেও এখন আর ভয় লাগে না। কেননা মৌমাছি আমাদের কাউকে আক্রমণ করে না।” 

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, “এটি মেইলিসিরা প্রজাতির মৌমাছি। এই মৌমাছি প্রকৃতি ও পরিবেশ বোঝে। যেখানে নিরাপত্তা, বাঁচার পরিবেশ ও খাবারের ভালো সুব্যবস্থা থাকে সেখানেই মূলত তারা বাসাবাঁধে। এগুলো সুন্দরবনের মৌমাছি। এক বছর যেখানে বাসা বাঁধে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর চলে যাওয়ার সময় সেখানে কিছু আলামত রেখে যায়। পরের বছর সেখানেই ফিরে আসে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মনিরামপুরের মৌমাছি বাড়ি!