অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন তামিম
Published: 25th, January 2025 GMT
ইউটিউবার এবং গায়ক হিসেবে তামিম মৃধা বেশ পরিচিত। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতাদের একজন তিনি। বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। সম্প্রতি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন তামিম- এমন খবর ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি এমন নয় বলে জানিয়ে এই অভিনেতা।
সমকালকে তিনি জানান, “প্রত্যেক মানুষেরই ধর্মের প্রতি আলাদা একটা বিষয় থাকে। সে ধর্মেরই হোক। সম্প্রতি দেখছি আমার নাম জড়িয়ে ‘ইসলামের ছায়াতল’সহ বেশ কিছু শব্দ দিয়ে কিছু পোস্ট ও খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ঘিরে আমাকে নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, সেটা সেরকম না। তবে হ্যাঁ, লম্বা সময় ধেরে আমি অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে আছি। তার মানে এই না যে আমি পুরোপুরি অভিনয় বিদ্বেষী হয়ে গেছি।’
এই অভিনেতা বলেন, ‘ সম্প্রতি ইউটিউবে আমি একটি ইসলামিক অনুষ্ঠান চালু করেছি। এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব করার পর দর্শকের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। সেটা দেখেও অনেকে এমন ভাবতে পারেন।’
ধর্ম বা অভিনয় নিয়ে কোনো ধরণের বিভ্রান্তি না ছড়ানের অনুরোধও জানান তামিম মৃধা। তার কথায়, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা বাড়লে বিষয়টি বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে নিতে পারেন। যেহেতু এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় তাই আমি অনুরোধ করবো এটা নিয়ে যেন কেউ বিভ্রান্ত না ছড়ায়।’
এর আগে তামিমের বড় ভাই সাকিব এম তালহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার ভাই তামিম মৃধা মূলধারার মিডিয়াতে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছেন। আশা করি আপনারা তাকে (তামিম) সমর্থন করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’