সোয়া এক ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
Published: 25th, January 2025 GMT
সোয়া এক ঘণ্টা পর রাজধানীতে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উত্তরা উত্তর স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
তিনি জানান, শনিবার দুপুর ১টা ৩২ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পল্লবী স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কিছুটা পথে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। পরে ২টা ৫০ মিনিট থেকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ওই সিগন্যাল সিস্টেমে পাওয়ার সাপ্লাই হয় দুটি ট্রান্সফর্মার থেকে। এর মধ্যে একটিতে সমস্যা হয়েছিল।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তখন কোনো স্টেশন থেকেই যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারেননি। সকালেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল ট্রেনগুলো।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এরপর সোয়া ১টার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচলে ফের বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টাখানেকের মতো বন্ধ থাকার পর আড়াইটার দিকে মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত আবারও মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। পরে ২টা ৫০ মিনিট থেকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’