রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী শিমুলের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহপাঠীরা। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়। 

শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিলে রাজশাহী কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সময় ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, শিমুল হত্যার বিচার চাই’, ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। 

কিছুক্ষণ পর তারা সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেট-সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নিহত শিক্ষার্থীর স্বজন ও স্থানীয়রা। সড়কে বিক্ষোভ করে তারা প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন। 

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজশাহী কলেজের শিমুল নামের এক শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিমুল ওই রাতে তার বান্ধবীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রক্টরের গাড়ি দেখে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে শিমুল আহত হন। আর পরিবারের দাবি, শিমুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

শিমুলের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বুধপাড়া এলাকায়। তিনি রাজশাহী কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আর পুলিশ শিমুলের বান্ধবীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখেছে। এ নিয়ে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। 

নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, “শিমুলের পরিবার মামলা করতে চায়। সম্ভবত হত্যা মামলা হবে। সন্ধ্যার পর তারা এজাহার নিয়ে আসতে চেয়েছেন।”

ঢাকা/কেয়া/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ