রিয়াল মাদ্রিদে নিজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বেশ খুশি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ক্লাবটির কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, ভিনিসিয়ুস রিয়াল মাদ্রিদে ‘খুবই সুখী’ এবং ক্লাবের হয়ে ‘ইতিহাস গড়তে চান।’ সৌদি প্রো লিগের আগ্রহ সত্ত্বেও ভিনিসিয়ুসের পুরো মনোযোগ মাঠে এবং নিজের উন্নতিতে।  

ইএসপিএনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্প্রতি সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে ভিনিসিয়ুস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান এবং ক্লাবের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে চান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরবি সালজবুর্গের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করে তিনি নিজের ফর্মের প্রমাণও দিয়েছেন।  

এ প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি জানি, ভিনিসিয়ুস এখানে খুবই খুশি। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের অংশ হতে চান। আমরা সবাই ক্লাবের জন্য সুখী এবং একসঙ্গে ইতিহাস গড়ার চেষ্টা করছি।’  

রিয়ালে আসার পর থেকেই অসাধারণ ফর্মে থাকা ভিনিসিয়ুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। চলতি মৌসুমেও তিনি এরই মধ্যে ১৭টি গোল করেছেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের যোগদানের পর তার ওপর দলের নির্ভরতা কমেছে বলে অনেকে মনে করলেও আনচেলত্তি তা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভিনিসিয়ুস আমাদের জন্য অমূল্য একজন খেলোয়াড়।’  

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লাল কার্ড পাওয়ায় তিনি লা লিগার পরবর্তী দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ রয়েছেন। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্রেস্টের বিপক্ষেও হলুদ কার্ডের কারণে খেলতে পারবেন না। আনচেলত্তি জানান, ‘এই বিরতিতে তিনি বিশ্রাম পাবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে সতেজ হয়ে ফিরবেন।’  

পাশাপাশি মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দেকে প্রশংসায় ভাসিয়ে আনচেলত্তি তাকে ‘বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্পূর্ণ খেলোয়াড়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। পাশাপাশি রদ্রিগোর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেরও প্রশংসা করেছেন আনচেলত্তি, যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ৯ ম্যাচে ৮ গোল করে অসাধারণ ফর্মে আছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ