যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। কোনো স্টেশন থেকে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারছেন না। শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর আগে সকালেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।   

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল ট্রেনগুলো।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর তিনটার একটু আগে মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত আবারও মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী ট্রেন এখনও স্বাভাবিক শিডিউলে ফেরেনি।

দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল সেবা। এরপর সোয়া ২টার দিকে আংশিক অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শেষ ট্রেনটি উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে মতিঝিল যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। ট্রেনটি ছাড়ার পর উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের আগে মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে বন্ধ থাকবার পর ট্রেনটিকে পুনরায় উত্তরা সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে যাত্রীদের নামিয়ে ট্রেন খালি রেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর সোয়া ২টায় মতিঝিল থেকে পল্লবী এবং পল্লবী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

তবে পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মেট্রোরেল চালুর কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশনে (এটিএস) ত্রটি দেখা গেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হননি। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের চারতলা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. এ বি এম নুরুজ্জামান বলেন, “সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন বা শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওষুধের কার্টুনের স্টোরে আগুন লেগেছিল। আগুন দেখার সঙ্গে সঙ্গে মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভান।” 

আরো পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী সাংবাদিক এম সুলতান

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান

তিনি আরো বলেন, “গত বছর একই দিনে (৩১ জানুয়ারি) দিনাজপুর মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে আগুন লেগেছিল।” 

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ