যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়েছে। কোনো স্টেশন থেকে যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারছেন না। শনিবার দুপুর পৌনে দুইটার পর থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে মেট্রোরেল। 

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ওই স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি পড়ে। এছাড়া শনিবার ট্রেনগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সকালে ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়নি। ফলে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০ মিনিট মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরে দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট থেকে আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় যা এখনও চালু হয়নি।

মেট্রোরেল চালুর কাজ চলছে। জানা গেছে অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশনে (এটিএস) ত্রটি দেখা গেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো অবস্থাতেই মাংস-ডিম আমদানি নয়: উপ‌দেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “কোনো অবস্থাতেই আমরা মাংস-ডিম আমদানি করতে চাই না। এ ধরনের আমাদানির ফলে সংক্রামক রোগ  দেশে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করার কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করেন। এভাবে আমদানি করলে দেশীয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তি‌নি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চায়। আমদানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যেন পরামর্শ গ্রহণ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক করতে চাই। এ ব্যাংক হলে খামারিরা ঋণ নিলে একদিকে যেমন আমদানিনির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।”

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে সহযোগিতা ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জা‌নি‌য়েছেন উপ‌দেষ্টা ফরিদা আখতার। এ অধিদপ্তরে মাধ্যমে নিহতের পরিবার ও আহতদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে ভ্যাকসিন দেওয়ার এরিয়া বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দ এবং ৬৪ জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ