বদলে দেওয়া হলো মেক্সিকো উপসাগরের নাম
Published: 25th, January 2025 GMT
মেক্সিকো উপসাগরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন। শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিভাগ জানায়, এখন থেকে মেক্সিকো উপসাগরের আনুষ্ঠানিক নাম হবে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বা ‘আমেরিকা উপসাগর’।
সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার ‘ডেনালি’ পর্যত শৃঙ্গের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। এর নতুন নাম হয়েছে ‘মাউন্ট ম্যাককিনলে’। খবর- রয়টার্স
গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই ক্ষমতা নিয়েই একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এসব আদেশের মধ্যে নাম পরিবর্তনের বিষয়গুলোও রয়েছে। নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ট্রাম্প এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, মেক্সিকো উপসাগর এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকা উপসাগর (গালফ অব আমেরিকা) নামে পরিচিত হবে। সেই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট ম্যাককিনলে করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এসব পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতি জাতির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। সেই সঙ্গে এগুলো এটাও নিশ্চিত করে, আমেরিকাবাসীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের বীরদের উত্তরাধিকার ও ঐতিহাসিক সম্পদের গুণকীর্তন করবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’