বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার মানবাধিকারকে পদদলিত করে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করেছে। দেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। গুম, হত্যা, আয়নাঘর তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। 

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিষন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ এই সেমিনারের আয়োজন করে। 

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল হুদা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার আপন শিশু বিকাশ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা উম্নত ভিজান মাখদুম পন্নী প্রমুখ। 

গত জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে সেলিমা রহমান আরো বলেন, আন্দোলনের ফসল কোন একক দলের নয়। আমরা সবাই মিলে আন্দোলন করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। এখন আমরা জাতীয় নির্বাচন চাই। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আর গণতন্ত্র শক্তিশালী হলেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করতে হবে। এতে বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা চেষ্টা করছে নানা জায়গায় ঐক্যে ফাটল ধরাতে। সমালোচনার ব্যাপারে আমাদের সবাইকে আরও সহজ ও সহনশীল হওয়া দরকার। সরকার চালাতে হলে অনেক কথা আসবে। 

সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, ৫৩ বছর পরেও আমাদের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। এখন আমাদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চিৎকার ও লড়াই করতে হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ গণতন ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু

নির্বাচনে যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি করবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতীত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, দায়বদ্ধ সরকার, যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে, তারাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।

বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, পুলিশ, র‌্যাব ও সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবেন না।

নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে।

এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক দল, কর্তৃত্বপরায়ণতা ও নতুন বন্দোবস্ত
  • নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু
  • ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান ইমরান
  • ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এবি পার্টির নেতাদের মতবিনিময়
  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে
  • ‘এ’ ক্ষমতা থেকে চলে গেছে, মনে হয় ‘বি’ ক্ষমতায় বসেছে: মাহমুদুর রহমান মান্না
  • নেতারা দেশে গণতন্ত্র চান, দলে চান না