বিপিএলের চলতি আসরে চিটাগং কিংসের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন আলিস আল ইসলাম। ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তবে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সম্প্রতি সন্দেহ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।  

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছেন আলিস। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার ফলাফল আজ অথবা আগামীকাল প্রকাশ করা হতে পারে।  

গত ১৯ জানুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচে ৩ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পাওয়ার দিনই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। পরের ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। এরপর গত বুধবার ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তার বোলিং নিয়ে ফের সন্দেহ ওঠে, যার ফলে তাকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।  

এটি অবশ্য আলিসের প্রথমবার নয়। ২০১৯ সালের বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের হয়ে অভিষেক ম্যাচে তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সেই সময়ও তাকে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।  

পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে আলিসের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা। উত্তীর্ণ হলে তিনি চলমান বিপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে ব্যর্থ হলে আবারও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে এই ডানহাতি স্পিনারকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল পর ক ষ র অ য কশন ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ