বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আটক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়ে বিজয় মিছিল করেছে তার রাজনৈতিক সহপাঠীরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সান ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ারকে আটক করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পুলিশে সোপর্দ করার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে তার রাজনৈতিক সহপাঠীরা দরজা ভেঙে শাহরিয়ারকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করে তারা।

রাকিব আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি জড়িত ছিল ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য আটকে রেখেছিল। খবর পেয়ে তার রাজনৈতিক সহপাঠীরা দরজা ভেঙে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। পরে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিলও করেছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীদের অবস্থান এই ক্যাম্পাসে হবে না।’’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে রাখার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে, তার আগেই তার রাজনৈতিক সহপাঠীরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জয় ম ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ