বলিউডের নব্বইয়ের দশকের লাস্যময়ী বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নিকে। সেই নায়িকা এখন সন্ন্যাস নিয়েছেন। শুধু তাই নয় বদলে গেছে তাঁর নামও। এই অভিনেত্রীর নতুন নাম—শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি। শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনাটি ঘটেছে বলিউডে অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করা এই নায়িকার জীবনে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়ায় সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা। ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন তিনি। এ দিন তিনি পিণ্ডদানও করেন। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামকরণও হয়েছে-শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি। এ দিন তিনি কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর, অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় অম্বানন্দ গিরির সঙ্গেও দেখা করেন।

নায়িকার জীবনে এমন রদবদলের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মমতাকে গেরুয়া বেশে নিয়েছেন। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। একেবারে অচেনা রূপে তাঁকে দেখে অবাক ভক্তরা।

জানা গেছে, মহামণ্ডলেশ্বর রীতিতে ধর্মগুরুরা সনাতন ধর্ম নিয়ে নানা কথা বলে থাকেন। আরও সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা ও ইতিবাচক জীবনযাপনের বার্তা দেন তাঁরা। সেই দিকেই এখন মনোনিবেশ করলেন নব্বই দশকের নায়িকা।

নব্বইয়ের দশকে একাধিক সাহসী চরিত্রে দেখা গেছে মমতাকে। ‘করণ অর্জুন’, ‘চায়না গেট’, ‘তিরঙ্গা’, ‘আশিক আওয়ারা’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘বাজ়ি’, ‘সাবসে বড়া খিলাড়ি’, ‘পুলিশওয়ালা গুন্ডা’র মতো সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আজও তাঁর কথা স্মরণ করে দর্শক।

বেশ কিছু দিন ভারতের বাইরে ছিলেন মমতা। কেনিয়ায় মাদক চক্রের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। অবশেষে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ বছর পরে দেশে ফেরেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ