লস অ্যাঞ্জেলেস সফরে ট্রাম্প, দাবানল নিয়ন্ত্রণে ডেমোক্র্যাট গভর্নরের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
Published: 25th, January 2025 GMT
দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম সফরে শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ায় গেছেন। সেখানকার লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল নিয়ন্ত্রণে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দরে এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানান গভর্নর নিউসম। খবর-রয়টার্স
পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছু কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। অঙ্গরাজ্য পরিচালনায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আপনি এটি সম্পন্ন করতে পারবেন। আমরা এ কাজ শেষ করতে যাচ্ছি। তাদের অনেক কেন্দ্রীয় সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।’
ডেমোক্র্যাট নেতা নিউসমের সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে তার অতীত সম্পর্ক বিরোধপূর্ণ থাকলেও ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের কাছে সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস। এখনো এ অঞ্চলে তিনটি বড় দাবানল জ্বলছে। এর আগে দাবানল নিয়ন্ত্রণে ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লস অ য ঞ জ ল স আম র ক লস অ য ঞ জ ল স
এছাড়াও পড়ুন:
এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা
যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম যমজ বোন। মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন। এক টেবিলে পড়াশোনা, এক বিছানায় ঘুমানো—এভাবেই কেটেছে ১৭টি বছর। একজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া, অন্যজনের প্রকৌশলী। সম্প্রতি যারীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং যাহরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে।
যারীন ও যাহরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষক দম্পতি আবু জুয়েল ও চায়না আক্তারের যমজ মেয়ে। শিক্ষাজীবনে পিএসসি থেকে শুরু করে সব পরীক্ষায় তাঁরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল উপজেলার সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আর মা চায়না আক্তার উপজেলার শান্তিকুঞ্জ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।
যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক দোলনায় শুয়েছি। বড় হয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। স্কুল-কলেজে একই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করেছি। শুধু কলেজ ছাড়া ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এক সেট বইয়ে দুজন পড়েছি। আমাদের কখনো মুঠোফোন দেওয়া হয়নি। তবে কলেজে দুজনে মিলে একটি বাটন ফোন চালিয়েছি। ১৭ বছর একসঙ্গে থেকেছি। স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এখন থেকে আমাদের আলাদা থাকতে হবে।’
মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন যমজ দুই বোন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে