নিজ বাড়িতে সাইফ আলী খান যখন হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন তাকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। সেখানে সাইফের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। নায়ক বাড়ি ফেরার পর এক সাক্ষাৎকারে সাইফের ঘটনা প্রসঙ্গে আরও কিছু কথা বলেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। 

তার কথার মানে এই দাঁড়ায়, এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় শুধু সাইফের ক্ষেত্রেই নয়, সবার ক্ষেত্রেই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।

শাহিদ বলেন, ‘এটা যে কারো সঙ্গেই হতে পারে। যদিও মুম্বাই খুব নিরাপদ শহর, তাই অত্যন্ত এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা সকলেই খুব অবাক। এমন অনেক শহর রয়েছে যেখানে এই বিষয়গুলো ঘটেই থাকে, সেখানে এই সব ঘটনা ঘটা খুব একটা বড় ব্যাপার নয়। তবে এটা যে কারো সঙ্গেই হতে পারে। আমি বলব না যে সেলিব্রিটিরা সফট টার্গেট।’

শাহিদ কাপুর বলেন, ‘অনেক মানুষ আছেন যারা সম্ভবত একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েন। এমনকি যদি এটি কোনো সাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে ঘটে থাকে, তাও আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ সাইফ একজন সেলিব্রিটি, তাই ওকে নিয়ে এত অলোচনা হচ্ছে। তবে যেটাই ঘটেছে তাতে সবাই মর্মাহত। সাইফ বাড়ি ফিরেছেন, ভালো আছেন দেখে আমরা সবাই খুশি।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ