‘আশ আল-মালিক’  শিরোনামের জাতীয় সংগীতের সুর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। ১৯৪৭ সালে সৌদি বাদশা আবদুল আজিজের অনুরোধে মিসরের সুরকার আবদুর রহমান আল-খতিব এটি  রচনা করেছিলেন যার অর্থ ‘দীর্ঘজীবী হোন বাদশা’। জাতীয় সংগীতটি বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণটি সেই সময়কার প্রচলিত ‘আরব ফ্যান ফেয়ার’ ঘরানার। এটি পরিবর্তন করে নতুন সুরারোপ করার দায়িত্ব পেয়েছেন মার্কিন অস্কারজয়ী সুরকার হ্যান্স জিমার। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

সৌদি আরবের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে,  দেশটিতে যে বিপুল পরিবর্তনের কর্মযজ্ঞ চলছে,  জাতীয় সংগীত পরিবর্তনও ওই কমযজ্ঞের অংশ। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, হলিউডের বিখ্যাত সব সিনেমার সুরকার জিমার এই প্রকল্পের কাজে প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানিয়েছেন।

সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


এদিকে হ্যান্স জিমারের ঝুলিতে বর্তমানে দুটি অস্কার, একটি বাফটা এবং চারটি গ্র্যামি জেতার রেকর্ড রয়েছে। ‌‘দ্য লায়ন কিং’ ও ‘ডুন’ চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করে সেরা মৌলিক সুর বিভাগে অস্কার পান তিনি। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের শীর্ষ ১০০ জীবন্ত প্রতিভাবান ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ