‘আশ আল-মালিক’  শিরোনামের জাতীয় সংগীতের সুর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। ১৯৪৭ সালে সৌদি বাদশা আবদুল আজিজের অনুরোধে মিসরের সুরকার আবদুর রহমান আল-খতিব এটি  রচনা করেছিলেন যার অর্থ ‘দীর্ঘজীবী হোন বাদশা’। জাতীয় সংগীতটি বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণটি সেই সময়কার প্রচলিত ‘আরব ফ্যান ফেয়ার’ ঘরানার। এটি পরিবর্তন করে নতুন সুরারোপ করার দায়িত্ব পেয়েছেন মার্কিন অস্কারজয়ী সুরকার হ্যান্স জিমার। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

সৌদি আরবের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে,  দেশটিতে যে বিপুল পরিবর্তনের কর্মযজ্ঞ চলছে,  জাতীয় সংগীত পরিবর্তনও ওই কমযজ্ঞের অংশ। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, হলিউডের বিখ্যাত সব সিনেমার সুরকার জিমার এই প্রকল্পের কাজে প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানিয়েছেন।

সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


এদিকে হ্যান্স জিমারের ঝুলিতে বর্তমানে দুটি অস্কার, একটি বাফটা এবং চারটি গ্র্যামি জেতার রেকর্ড রয়েছে। ‌‘দ্য লায়ন কিং’ ও ‘ডুন’ চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করে সেরা মৌলিক সুর বিভাগে অস্কার পান তিনি। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের শীর্ষ ১০০ জীবন্ত প্রতিভাবান ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনের আরও একটি গ্রাম দখলে নিল রাশিয়া

ইউক্রেনের আরেকটি গ্রাম দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। দখলে নেওয়া গ্রামটির নাম রোজলিভ। এটি ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দোনেৎস্ক প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি গ্রাম। গ্রামটি দখল নেওয়ায় অঞ্চলটিতে রুশ সেনাদের পশ্চিমমুখী অগ্রযাত্রা আরেকটু অগ্রসর হলো।

রোজলিভ দখলে নেওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, রোজলিভ ও প্রতিবেশী কোস্টিয়ানটিনোপিল গ্রামে পাঁচবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেন, ওই অঞ্চলে তিনটি লড়াই চলছে।

উল্লিখিত তথ্যের কোনোটিই স্বাধীনভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ডিপ স্টেট নামে ইউক্রেনের একটি ব্লগ রয়েছে, যারা উন্মুক্ত উৎস ব্যবহার করে প্রায় এক হাজার কিলোমিটারের সম্মুখসারির (ফ্রন্ট লাইন) তথ্য হালনাগাদ করার কাজ করে। তারা জানায়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রোজলিভ গ্রামের কাছাকাছি চলে এসেছে রুশ সেনারা। অন্যদিকে টরেটস্ক নামক গ্রামেও ব্যাপক লড়াইয়ের খবর দিয়েছে ব্লগটি।

রোজলিভ হলো পোকরোভস্ক শহরের দক্ষিণের একটি গ্রাম। ইউক্রেনের রান্নার কয়লা তৈরির একমাত্র খনি পোকরোভস্ক শহরে অবস্থিত। শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করছিলেন রুশ সেনারা। সম্প্রতি তাঁরা কাছাকাছি চলে আসায় খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হামলার শুরুতে রাজধানী কিয়েভ দখলে নেওয়াই ছিল রাশিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মাথায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দনবাস অঞ্চলের প্রশাসনিক অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখলে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেন রুশ সেনারা।

ওই দুই অঞ্চলের বড় অংশ বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। রুশভাষী অঞ্চল দুটিতে গণভোট দিয়ে নিজেদের পার্লামেন্টে আইন পাস করে তা নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ করে নিয়েছে রাশিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ