সৌদির ‘জাতীয় সংগীতে’ সুরারোপ করবেন মার্কিন সুরকার
Published: 25th, January 2025 GMT
‘আশ আল-মালিক’ শিরোনামের জাতীয় সংগীতের সুর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। ১৯৪৭ সালে সৌদি বাদশা আবদুল আজিজের অনুরোধে মিসরের সুরকার আবদুর রহমান আল-খতিব এটি রচনা করেছিলেন যার অর্থ ‘দীর্ঘজীবী হোন বাদশা’। জাতীয় সংগীতটি বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণটি সেই সময়কার প্রচলিত ‘আরব ফ্যান ফেয়ার’ ঘরানার। এটি পরিবর্তন করে নতুন সুরারোপ করার দায়িত্ব পেয়েছেন মার্কিন অস্কারজয়ী সুরকার হ্যান্স জিমার।
সৌদি আরবের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটিতে যে বিপুল পরিবর্তনের কর্মযজ্ঞ চলছে, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনও ওই কমযজ্ঞের অংশ। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, হলিউডের বিখ্যাত সব সিনেমার সুরকার জিমার এই প্রকল্পের কাজে প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
আন্তর্জাতিক উৎসবে যাচ্ছে নুহাশ হুমায়ূনের ‘২ষ’
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত সাইফ আলী খান, নিরাপদে আছেন কারিনা
এদিকে হ্যান্স জিমারের ঝুলিতে বর্তমানে দুটি অস্কার, একটি বাফটা এবং চারটি গ্র্যামি জেতার রেকর্ড রয়েছে। ‘দ্য লায়ন কিং’ ও ‘ডুন’ চলচ্চিত্রের গানে সুরারোপ করে সেরা মৌলিক সুর বিভাগে অস্কার পান তিনি। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের শীর্ষ ১০০ জীবন্ত প্রতিভাবান ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ