কানাডায় প্রবেশকারী শরণার্থীদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কুইবেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য একটি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করছে৷ ইতোমধ্যেই ফেডারেল সরকার অফিসের জায়গা চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যর্থনা ও খাবার বিতরণের জায়গাগুলোর পাশাপাশি ২০০ জন লোকের জন্য বসার জায়গা বা ওয়েটিং রুমের কথা বলা হয়েছে।

এক ই-মেইল বার্তায় কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি বলেছে, পরিকল্পিত প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি ‘আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের ক্ষেত্রে’ এটি আকস্মিক পরিকল্পনার অংশ।

পাবলিক সার্ভিসেস অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট কানাডার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিল্ডিংটি মন্ট্রিয়েলের দক্ষিণে সেন্ট-বার্নার্ড-ডি-লাকোলে, কুইয়েতে অফিসিয়াল সীমান্ত ক্রসিং এলাকার ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্প্রতি শুল্ক আরোপের হুমকির জবাবে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ডিসেম্বরে অটোয়ার ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করে। যদি না কানাডা সীমান্তের ওপারে অভিবাসী এবং মাদকের প্রবাহ হ্রাস না করে।

গত নভেম্বরে কুইবেক প্রিমিয়ার ফ্রাঁসোয়া লেগল্ট অভিবাসীদের নির্বাসনে একটি বড় অভিযান শুরু করার মুহূর্তে আমেরিকায় ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বের করে দেওয়ার হুমকির কারণে প্রদেশে ‘অভিবাসীদের ব্যাপক প্রবাহ’ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।

কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশ করে এবং আশ্রয় চাওয়ার দৈনিক গড় গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ২১২ থেকে ১০৯ জনে নেমে এসেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জেলেনস্কি শান্তি চান না: ট্রাম্প

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান চান না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গে জেলেনস্কির সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। খবর বিবিসির। 

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর রোববার (২ মার্চ) এপিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেন, আপাতত নিকট ভবিষ্যতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি যথাযথ চুক্তি এখনো অনেক অনেক দূরে। কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত এ ইস্যুতে পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেনি। তবে যে চুক্তিই হোক না কেন, সেটিকে অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো— (সেটিকে) টেকসই হতে হবে। ’

আরো পড়ুন:

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার অভিযান স্থগিত

ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করলেন ট্রাম্প

জেলেনস্কির এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘জেলেনস্কি এ পর্যন্ত যত বিবৃতি দিয়েছেন, তার মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে জঘন্য এবং যুক্তরাষ্ট্র আর এসব সহ্য করবে না। ’

তিনি লেখেন, ‘যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই লোক ইউক্রেনে শান্তি চাইবে না। ’

ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে জেলেনস্কির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কির সঙ্গে তাদের বৈঠকে ইউরোপ স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কাজটি করতে পারবে না। রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এটি দুর্দান্ত কোনো বিবৃতি নয়। তারা কী ভাবছে?”

এদিকে, ইউক্রেনে সব ধরনের মার্কিন সামরিক সহযোগিতা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।

সোমবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, তিনি শান্তির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া দরকার। আমরা আমাদের সাহায্য স্থগিত করছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, এটি একটি সমাধানে অবদান রাখছে।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ