‘ঢাকা ড্রিমস’ শিরোনামের কনসার্টে আজ গাইবে পাকিস্তানের ব্যান্ড কাভিশ। এর আগে গত ১০ ও ১১ জানুয়ারি পর পর দুইদিন কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। আয়োজক সংস্থা ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনস জানিয়েছে, পিছিয়ে যাওয়া ঢাকা ড্রিমস কনসার্টটিই অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

আয়োজকরা জানিয়েছে, কনসার্টে অংশ নিতে গত ২২ জানুয়ারি রাতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে কাভিশ ব্যান্ড। 

কাভিশের পাশাপাশি দেশের একাধিক শিল্পী ও ব্যান্ড পারফর্ম করবে ঢাকা ড্রিমস কনসার্টে। আয়োজন শুরু হবে ব্যান্ড লেভেল ফাইভের পরিবেশনা দিয়ে। এরপর মঞ্চে আসবে আরমীন মুসা ও ঘাসফড়িং কয়ার। তাদের পরিবেশনা শেষে পারফর্ম করবে ব্যান্ড শূন্য। কনসার্টে বিশেষ আকর্ষণ থাকবে শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েকের যৌথ পরিবেশনা। কাভিশের পারফরম্যান্স দিয়ে শেষ হবে আয়োজন।

১৯৯৮ সালে গায়ক জাফর জাইদি ও মাজ মাওদুদের হাত ধরে গড়ে ওঠে কাভিশ ব্যান্ড। ঢাকা ড্রিমস কনসার্টের মাধ্যমে প্রথমবার বাংলাদেশে গান শোনাবে দলটি। 

ব্লু ব্রিক কমিউনিকেশনসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা কাভিশকে ঢাকায় আনার সুযোগ পেয়ে খুবই আনন্দিত এবং এমন একটি সন্ধ্যার আয়োজন করছি, যেখানে দেশি ও আন্তর্জাতিক শিল্পীরা এক মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করবেন।

জানা গেছে, টিকিটের মূল্য ৪ হাজার টাকা। দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ৩টায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনস র ট কনস র ট

এছাড়াও পড়ুন:

হিজরতের ৫টি শিক্ষা

সাহাবিদের হিজরতের ঘটনাবলি কেবল ইতিহাসের অংশ নয়, বরং তা মুমিন জীবনের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। তাদের হিজরতের ঘটনা ও ত্যাগের আদর্শ থেকে কয়েকটি মৌলিক শিক্ষা উঠে আসে:

১. হিজরত প্রথমত আল্লাহর আদেশ পালন

হিজরত কেবল কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল না, বরং ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা এক ইবাদতমূলক নির্দেশ। এই কারণে সাহাবিরা সবচেয়ে প্রিয় বস্তু—ঘরবাড়ি, সম্পদ, আত্মীয়স্বজন—সহজে ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। (মুহাম্মদ সাইদ রমাদান আল-বুতি, ফিকহুস সিরাহ, পৃষ্ঠা: ১৫৬, দারুল ফিকর, দামেস্ক, ২০০৪)

২. ইমানের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ

হিজরত শেখায় যে একটি জাতির ভিত্তি স্থাপন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য চরম মূল্য দিতে হয়। সুহাইব তাঁর সব সম্পদ, আবু সালামা তাঁর পরিবার এবং বনু জাহশ (রা.) জন্মভূমি ত্যাগ করে এই মূল্য পরিশোধ করেছিলেন। এই ত্যাগ বিনা মূল্যে অর্জিত হয়নি।

আরও পড়ুনমদিনায় হিজরত: ইসলামের ৬টি মাইলফলক০২ জুলাই ২০২৫৩. ইমানের সম্পর্ক অন্য সব সম্পর্ক থেকে ঊর্ধ্বে

ওমর (রা.) আইয়াশকে যখন তার মায়ের দোহাইয়ের ফিতনা থেকে সতর্ক করেছিলেন, তা প্রমাণ করে যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি আনুগত্যের বন্ধন অন্য সব জাগতিক সম্পর্ক (গোত্র, পরিবার, রক্ত) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

৪. ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা

হিজরত মোটেই বিশৃঙ্খল ছিল না। ওমর (রা.)-এর পরিকল্পনা, কাফেলাবদ্ধ হয়ে যাত্রা এবং কৌশল অবলম্বন—সবই প্রমাণ করে যে আল্লাহর ওপর নির্ভরতার পাশাপাশি মানবীয় প্রচেষ্টা ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করাও আবশ্যক।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)–র হিজরত মদিনায় হলো যে কারণে২৯ জুন ২০২৫৫. আল্লাহর দয়ার বিশালতা

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ফিতনা ও দুর্বলতা মানুষের জীবনে আসতে পারে। কিন্তু যখন তারা মক্কায় বন্দী হয়ে নিজেদের পাপী মনে করছিলেন, তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতটি নাজিল করে আশার দরজা খুলে দেন, ‘বলো, “হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ (পাপ করেছ), তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন।”’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)

এই আয়াতটি ছিল তাঁদের জন্য এক ঐশী ক্ষমা ও নতুন সুযোগের বার্তা।

হিজরত কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি একটি অক্ষয়–দর্শন—যেখানে ইমান, ধৈর্য এবং আত্মত্যাগের সমন্বয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনের বীজ নিহিত ছিল। এই দর্শনই মুসলমানদের নতুন এক দিগন্তে পৌঁছে দেয়।

আরও পড়ুনআবিসিনিয়ায় নারী সাহাবিদের দ্বিতীয় হিজরত১৪ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ