যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পিট হেগসেথের নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে মার্কিন সিনেট। গতকাল শুক্রবার সিনেটে অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে তার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। সিনেটে হেগসেথের পক্ষে ও বিপক্ষে ৫০টি করে ভোট পড়ে।তাই ট্রাম্প মনোনীত এই ব্যক্তির নিয়োগ চূড়ান্ত হতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।

সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা তার ব্যাপক বিরোধিতা করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন রিপাবলিকানও ছিলেন। ডেমোক্র্যাট ও স্বতন্ত্রদের পাশাপাশি হেগসেথের নিজ দল রিপাবলিকানের তিন সদস্যও তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় ফলাফল ঘোষণায় জটিলতা তৈরি হয়।

এমন পরিস্থিতিতে সিনেটে ভোট দিতে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। জে ডি ভ্যান্স পক্ষে ভোট দেওয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে হেগসেথের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সাবেক কর্মী হেগসেথ পেন্টাগনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে ডেমোক্র্যাট এবং কিছু রিপাবলিকান সেনেটর তার অভিজ্ঞতা এবং চরিত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আলাস্কার সেনেটর লিসা মুরকোভস্কি বলেন, 'তার অতীত আচরণ প্রমাণ করে যে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত নন।'

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ভাইস প্রেসিডেন্টের টাইব্রেক ভোটে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের নিয়োগ চূড়ান্ত হলো। প্রথম ঘটনাটিও ট্রাম্পের শাসনামলেই ঘটেছিল। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তার মনোনীত শিক্ষামন্ত্রী বেটসি ডেভোসের নিয়োগ চূড়ান্ত করতে ভাইস প্রেসিডেন্টের ভোট লেগেছিল।

গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই ট্রাম্প তার প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পিট হেগসেথকে মনোনীত করেন। তবে তার বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন, অতিরিক্ত মদ পানসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রকাশ হতে থাকে। এ অবস্থায় তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তবে হেগসেথ বারবারই মদ পানসহ অসদাচরণের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেছেন, নিয়োগ নিশ্চিত হলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সময় তিনি মাদক নেবেন না।

অন্যদিকে, ট্রাম্প এবং বেশিরভাগ রিপাবলিকান হেগসেথকে সমর্থন করেছেন। সিনেটররা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি (হেগসেথ) বিশ্বাসঘাতকতা, অতীতে মদ পানের অভিযোগসহ ব্যক্তিগত ব্যর্থতাগুলো স্বীকার করেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের যুদ্ধজয়ের মূল লক্ষ্যকে মনোযোগের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তিনিই সঠিক ব্যক্তি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ষ মন ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল, কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষক বহিষ্কার

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা এই বহিষ্কার আদেশ দেন।

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর তারা কোনও পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মো. বিল্লাল হোসেন এবং উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের ঠাকুর বাকাই ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান, নিলুফার ইয়াসমীন এবং গোলাম রেজুয়ান।

ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা জানান, পরীক্ষার হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে। এটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সুস্পষ্ট দায়িত্বে অবহেলা।

ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রের হল সুপার সিকদার জানান, ভোকেশনাল শাখার কয়েকজন ছাত্র সম্ভবত জানালা দিয়ে জব্দ হওয়া মোবাইলগুলো পরীক্ষার হলে নিয়েছিল। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এসব ধরা পড়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ