চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ১১
Published: 25th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানা এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয়ে একটি ভবনে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টাকালে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- মোজাহের আলম (৫৫), মহিউদ্দিন (৪৫), হোসাইন (৪২), রোমেল (৪১), আবদুস সবুর (৩৭), ওয়াজেদ (৩৬), আবদুল মান্নান (৩৫), ইয়াকুব (৩৫), শওকত আকবর (২৮), রুবেল হোসেন (২৫) ও ওসমান (২৪)।
আরো পড়ুন:
সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় ২ বাংলাদেশিসহ ১৯ রোহিঙ্গা উদ্ধার
চট্টগ্রাম ওয়াসার ২ কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘‘গত রাতে মাইক্রোবাস থেকে ১৩ জনের একটি দল খুলশীর তিন নম্বর রোডের একটি বহুতল ভবনের সামনে নামেন। এ সময় ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নিজেদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দেন। এরপর ভবনে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদের আটকে রেখে ৮ম তলায় যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়েন। এ অবস্থায় ডাকাত সন্দেহে ওই ভবনের অন্য বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১ জনকে আটক করে, পালিয়ে যান দুই জন। আটককৃতদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল ও ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ