কক্সবাজার শহরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে একাধিক চক্রের ১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তানভীর হোসেন (২২), মো. ইসমাইল (২০), ইমরান সরোয়ার ইমন (২১), মো. ইরফান ফারদিন (২০), সিহাব উদ্দিন ওরফে খোকন (২৯), মো.

সোহেল (২৮), সুমন কান্তি দাশ (২৫), মো. হান্নান (১৯), সাইফুল ইসলাম (২৪), মো. শাহীন ওরফে বুলেট (২২), হাসান মাহমুদ সাগর ওরফে ভিকি (২৬) ও মিজবাউল হক মুন্না (২২)। 

পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ঝিলংজা ইউনিয়নের নতুন জেলগেট সংলগ্ন চুইঝাল রেস্টুরেন্টের সামনে একটি সিএনজি গাড়ি থামিয়ে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের হ্যান্ডব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। হ্যান্ডব্যাগটিতে নগদ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডায়মন্ড রিং, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ভিভো মোবাইল ফোন এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় অভিযানে জড়িত ১২ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এবারও কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” 

তিনি আরো বলেন, “তাদের আইনের আওতায় এনে কক্সবাজার শহরে সব ধরনের অপরাধ দমনে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুখোশের অন্তরালে…

সন্ধ্যার আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যায়। বিনপুরের মসজিদ থেকে ঘোষণা আসে– ‘কাল থেকে রোজা শুরু, সবাই সেহরি খেয়ে নিয়েন!’ গ্রামের মানুষ রোজার প্রস্তুতি নেয়। কেউ সেহরির আয়োজন নিয়ে ভাবে, কেউ নামাজে মন দেয়। কিন্তু কিছু ঘরে নীরবতা, এক চাপা শোক ভাসে বাতাসে।
গ্রামের একপাশে বিশাল এক প্রাসাদ। ঝলমলে আলোয় আলোকিত চারপাশ। ভেতরে বসে আছে হাজি করিমউদ্দিন। একসময় ছিল ‘কালা করিম’। চাঁদাবাজি, জমি দখল আর লাঠিয়াল বাহিনীর ভয় দেখিয়ে গড়ে তুলেছিল সাম্রাজ্য। এখন ইসলামী পোশাক পরে, লম্বা দাড়ি রেখেছে, লোক দেখানো দান-খয়রাত করে বেড়ায়। রমজান এলেই বড় বড় ওয়াজ মাহফিল করে, গরিবদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে। অথচ এই গরিবদের মধ্যেই আছে সেই রহমত চাচা, যার জমি কেড়ে নিয়ে এখানে প্রাসাদ বানিয়েছে সে।
রহমত চাচার ঘরে ইফতারি বলতে শুধু এক মুঠো মুড়ি আর পানি ছাড়া কিছুই জোটে না। পাশে বসে তার বিধবা মেয়ে আর ছোট্ট নাতি। নাতি প্রশ্ন করে, 
‘দাদু, একটু খেজুর ছিল না?’ রহমত চাচা চুপ করে থাকে। একসময় এই জমিতে ধানের ক্ষেত ছিল, এখন সেখানে করিমউদ্দিনের বাগানবাড়ি। মনে পড়ে, 
কীভাবে তার লোকেরা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছিল। ভয়ে কিছুই বলতে পারেনি সে।
মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। করিমউদ্দিন সুগন্ধি আতর মেখে ইফতারি করতে বসে। সামনে সাজানো বাহারি খাবারের পসরা– খেজুর, শরবত, বিরিয়ানি, কাবাব আরও কত কী! এক কর্মচারী বিনীত কণ্ঠে বলে, ‘হুজুর, রহমত চাচা খুব কষ্টে আছে, একটু সাহায্য করবেন?’ করিমউদ্দিন বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয়, ‘যার কপালে যা আছে, সে তাই পাবে! আমি কারও ভাগ্য বদলাতে পারব না।’
রমজানের চাঁদ তখনও আকাশে জ্বলজ্বল করছে। করিমউদ্দিন আত্মতৃপ্তিতে ইফতারি করে আর রহমত চাচা আকাশের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি কি শুধু তাদেরই দোয়া শোন, যারা ক্ষমতাবান?’
রমজান সংযমের শিক্ষা দেয়, সেই শিক্ষায় জীবন আলোকিত হয়। কিছু মানুষ শুধু মুখোশ হয়ে থাকে আর মুখোশের অন্তরালে তারা ভয়ংকর। 
সুহৃদ ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখোশের অন্তরালে…
  • রমজানের প্রথম ১০ দিনে করণীয়
  • শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান
  • রহমতের মাস রমজান শুরু
  • চাঁদপুরে শুনে শুনে কুরআনের হাফেজ হলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ২ ভাই