রংপুর অঞ্চলে টানা পাঁচ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশায় আচ্ছন্ন প্রকৃতি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। 

গেল পাঁচ দিন ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আকাশে ভেসে থাকা ধোঁয়াশা ও সাথে হিম বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। তাপমাত্রা নামতে নামতে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষ এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষত, কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। 

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পাওয়া তথ্য মতে, রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এই পরিস্থিতির মূল কারণ। ভারী মেঘমালা এবং উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাসের কারণে সূর্যের আলো এই ক’দিন পুরোপুরি আড়ালে রয়েছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আকাশ আংশিক পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরটি। 

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুররা। প্রতিদিনের কাজ বন্ধ থাকায় তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। 
স্থানীয় বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুর রহমান বলেন, “ঘর থেকে বের হয়েও তেমন কাজ পাই না। ঠান্ডার কারণে মানুষ ঘরেই থাকছে।” 

সামাজিক সংগঠনগুলো শীতার্ত মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে। তবে এই সহায়তা পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট নয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি এবং শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা দরকার। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গেল এক সপ্তাহ ধরে রংপুরের আকাশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। এ সময় ঠান্ডায় মানুষের জীবনযাত্রা একেবারে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবহাওয়া উন্নতি হয়ে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।

ঢাকা/আমিরুল/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাজীগঞ্জ এম সার্কাস-আইটি স্কুল সড়ক সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ 

চাষাড়া টু আদমজী প্রধান সড়কের হাজীগঞ্জ এম সার্কাস হইতে আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত এ অংশটুকু দীর্ঘ প্রায় ১ বছর যাবৎ সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা।

দীর্ঘ প্রায়  ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সংস্কারে নেই কোন উদ্যোগ। দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই হাত,পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে বসে আছে বলে সাধারণ পথচারীদের কাছ থেকে এমনটাই তথ্য পাওয়া যায়। 

খবর নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ হইতে আদমজী এ সড়কটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো এবং ব্যস্ততম সড়ক। এ সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, বিবি মরিয়ম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আইইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সহ অনেক সরকারি বেসরকারি খ্যাতিসম্পন্ন আবাসন,ধর্মীয় ও শিল্প  প্রতিষ্ঠান। 

প্রতিনিয়তই যাতায়াত করেন শত শত শিক্ষার্থী, হাজার হাজার শ্রমিক ও  লক্ষ লক্ষ সাধারণ  মানুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিসহ গর্ভবতী মহিলারা। বেহাল এ অংশটুকু  সংস্কার না হওয়ায়  সকল মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খানাখন্দে এবড়ো থেবড়োতে পরিনত হওয়ায় প্রতিনিয়তই মানুষকে দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। 

অনেক ক্ষেত্রে পরিবহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় গাড়ি সড়কে থেমে যায় ফলে  যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানা যায়।  

অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, যারা দ্বায়িত্বে আছেন তারা তো চেয়ার থেকে উঠে রাস্তা ঘাটের কোন খোঁজ খবর নেন না, তারাতো দামী গাড়ি হাকিয়ে চলে। সাধারণ মানুষের কষ্ট বুজবার মতো তাদের মনমানসিকতা নেই। যদি থাকতো তা হলে দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার এ বেহাল অবস্থা দেখে মেরামত করার উদ্যোগ নিতো।

সড়কের এমন  বেহাল অবস্থা দেখে এ বিষয়ে  উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপ - বিভাগ ১ এর মোহাম্মদ আহছান উল্লাহ্ মজুমদার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ অংশ টুকু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর অধিনে থাকায় আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি এবং সিটি কর্পোরেশন সংস্কার করবে বলে আমরা কোন পদক্ষেপ নেই নি। তবে তারা না করলে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে আমরা মিটিং এ আলোচনা করেছি এবং যতদ্রুত সম্ভব রাস্তাটি  মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট  সাধারণ পথচারীদের দাবি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে পথচারীদের সড়ক দূর্ঘটনার হাত থেকে  রক্ষা করা হোক এবং চলাচল ব্যবস্থা নিরাপদ করুন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ