ভিনির জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাত সৌদি ক্লাবের
Published: 25th, January 2025 GMT
বিশ্ব ফুটবলে দলবদলের বাজারে ফের আলোচনায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে দলে ভেড়াতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব থেকে এসেছে রেকর্ড পরিমাণ প্রস্তাব। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নেইমারের বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর দলবদলের রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল ডেসমার্ক জানিয়েছে, সৌদি আরবের ক্লাব আল-আহলি ভিনিসিয়ুসকে দলে নিতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার সমান। যদি ভিনিসিয়ুস এই প্রস্তাবে রাজি হন, তবে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার।
২৪ বছর বয়সী এই সুপারস্টারের জন্য শুধু আল-আহলিই নয়, সৌদি প্রো লিগের আরও দুটি ক্লাব আল-নাসর এবং আল-হিলালও আগ্রহী। তবে বর্তমানে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে আল-আহলি। ক্লাবটি এরই মধ্যে রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজ এবং ইভান টনির মতো তারকাদের দলে নিয়েছে।
ভিনিসিয়ুসের বর্তমান চুক্তিতে ১ বিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ থাকলেও আল-আহলির এই প্রস্তাব রিয়াল মাদ্রিদের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রিয়াল মাদ্রিদ এই প্রস্তাবে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। ক্লাবটি জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুসকে ধরে রাখার বিষয়ে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। উল্লেখ্য, তাঁর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে।
অন্যদিকে, ভিনিসিয়ুস নিজেও রিয়াল মাদ্রিদে থাকার ইচ্ছা পরিষ্কার করেছেন। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ একতি ম্যাচের পর টিএনটি স্পোর্টস ব্রাজিলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন রিয়াল মাদ্রিদেই থাকা এবং আরও শিরোপা জেতা। সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলাই আমার লক্ষ্য। এই ক্লাবের হয়ে উন্নতি করতে চাই এবং আরও শিরোপা জিততে চাই।’
তবে সৌদি ক্লাবগুলোর আর্থিক প্রস্তাব ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ভিনিসিয়ুসকে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে ফেলতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এখনও সৌদি ক্লাবে যাওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দেননি। এখন দেখার বিষয়, মাদ্রিদ এই প্রস্তাব এড়িয়ে তাদের তারকাকে ধরে রাখতে কতটা সক্ষম হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ভিনিসিয়ুস। গত বছরও তাঁকে পেতে বড় অঙ্কের প্রস্তাব এসেছিল। তখন রিয়ালে দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান তারকা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এখন দেখার বিষয়, রিয়াল মাদ্রিদ এই বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব উপেক্ষা করে তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে কতটা সফল হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা
সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’
সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।
গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।
সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।
আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।
সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিবযেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।
দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।
সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী