আর্জেন্টিনা আরেকটা গোল দিতে পারলে, ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে পরিণত হতো ২০১৪ সালের বিভীষিকাময় মারাকানায়! কী এমন হয়েছে মিসায়েল দেলগাদোতে? দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল! না, আপনি ভুল পড়ছেন না। লিওনেল মেসির উত্তরসূরিরা গুনে গুনে ৬ বার ব্রাজিলের যুবাদের জালে বল জড়িয়েছে।

ম্যাচের অবস্থা এমন ছিল যে, ব্রাজিলিয়ান অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলাররা বলতে পারছিল না- ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’। আরেকটা গোল হজম করলেই ফিরে আসত ১১ বছর আগের সেই ‘সেভেন-আপে’র দুঃস্বপ্ন। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ ব্যবধানের হারটা আজও হজম করতে পারেনি ব্রাজিল।

তবে ব্রাজিলের কি আসলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচার উপায় আছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই হারও তাদেরকে ভালোই বেকায়দায় ফেলবে। কারণ জাতীয় দলের যে কোনো স্তর কিংবা পর্যায়েই (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয়। 
 

আরো পড়ুন:

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ 
ব্রাজিলিয়ানদের কাঁধে চড়ে নক আউটে রিয়াল মাদ্রিদ

ব্রাজিলে সেতু ধসে নিহত ৩, নিখোঁজ ১৫

বিস্তারিত আসছে.

..... 

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক প আম র ক আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ত্রিশজন গ্রাহকের ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি আবু তাহের নদভীসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ৯ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।

মামলার তদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আদালতে চার্জশিট জমা দেন পিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আজিজুল হক। 

যশোরের কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন চার্জশিট জমা দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

শিবচরে রেললাইনের পাশে মিলল যুবকের মরদেহ

অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- এহসান গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ব্যবস্থাপক কাজী রবিউল ইসলাম, জিএম জুনায়েদ আলী, পরিচালক আজিজুর রহমান, মঈন উদ্দিন, মুফতি গোলাম রহমান, আব্দুল মতিন, পরিচালক (প্রশাসন) আমিনুল হক, কলিমুল্লাহ কলি, মিজানুর রহমান, মুফতি ইউনুস আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, শাসুজ্জামান টিটো, যশোর শাখার ম্যানেজার আতাউল্লাহ, আব্দুল হালিম, লোকমান হোসেন মিয়াজী, আক্তারুজ্জামান ও এফও মোহাম্মদ আলী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত আসামিরা এহসান গ্রুপের গ্রাহকদের নানাভাবে বুঝিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখতে প্রলুব্ধ করেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখলে সুদবিহীন মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে নিশ্চয়তা দেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করে ৩০ জন গ্রাহক ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আমানত রাখেন এহসান গ্রুপে।

প্রতিষ্ঠানটি কয়েক বছরে কয়েকজন আমানতকারীকে সামান্য কিছু মুনাফা দেয়। ২০১৪ সালের ১ জুলাই রাতারাতি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। যশোরসহ এই প্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। এ প্রতিষ্ঠানটি যশোর থেকে গ্রাহকের ৩২২ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকা নিয়ে গেছে। ৩০ গ্রাহকের পক্ষে ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এহসান গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়সহ ২৮ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া কদমতলা এলাকার এহসান গ্রুপের গ্রাহক মফিজুল ইসলাম ইমন।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় যে ৯ জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- সংস্থার মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম সোনা মিয়া, এফও কমিটির সভাপতি শামছুর রহমান, সেক্রেটারি বাবর আলী, এফও কমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সেলিমউল আজম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মোকসেদ আলী, সাবেক সেক্রেটারি মুফতী ফুরকান আহমেদ, এহসান গ্রুপের পরিচালক এসএম মিরাজুর রহমান ও হাফিজুর রহমান।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাইতে হাসপাতালে ভর্তি
  • সাবেক এমপিসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট