বড় হারে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
Published: 25th, January 2025 GMT
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। তবে সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলো টাইগ্রেসরা। সেন্ট কিটসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় নারীদের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজের পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও হাতছাড়া হলো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। তবে এখনো সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হতে পারলেই মিলবে বিশ্বমঞ্চে খেলার টিকিট।
শুক্রবার রাতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরুটা ভালো হলেও ইনিংস মেরামতের পথে বড় ধস নামে টাইগ্রেসদের ব্যাটিং অর্ডারে। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান থেকে এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯৪। তবে সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৩.
টপ অর্ডার ব্যাটার ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তার শুরুতে ধীরগতিতে ৫০ রানের জুটি গড়লেও কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শারমিন আউট হন ৩৭ রানে, আর ফারজানা যোগ করেন ২২ রান। তাদের বিদায়ের পর সোবহানা মোস্তারি ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেললেও অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তোলে ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস আউট হলেও ৩৯ রান করেন কিয়ানা জোসেফ। আর ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ঝোড়ো ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
নারী বিশ্বকাপে ইতোমধ্যে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও সরাসরি খেলতে পারছে না, যদিও তারা সুপার লিগে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে অষ্টম স্থানে রয়েছে।
এখন পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এখন টাইগ্রেসদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাছাইপর্বে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার দিকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’