আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে পাটক্ষেতে ঘুমাতে হবে: কৃষক দল সম্পাদক
Published: 25th, January 2025 GMT
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নির্যাতন সহ্য করেছি। মাত্র ৬ মাস পার হলো না, সেই আওয়ামী লীগের প্রতি এত মায়া কেন? আবার যদি আওয়ামী লীগ ফিরে আসে তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাটক্ষেতে ঘুমাতে হবে। শান্তিতে রাত কাটাতে পারবে না কেউ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে ঠিক। তবে নানাবিধ ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। চোখ কান খোলা রাখতে হবে। আবার যদি ভোটের জন্য রাজপথে ডাক আসে, তাহলে আবার রাজপথে নামতে হবে।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আগামীতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি। গত ১৭ বছরের দুঃশাসন আমরা ভুলি নাই। আমরা হাসিনার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলেছি। অনেক অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেছি, তারপরও হাসিনার শাসন আমরা মেনে নেই নাই। আগামী দিনের যেকোনো লড়াইয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবোই। মানুষের শান্তির জন্য জাতীয়তাবাদী দল যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত।
নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মহিউদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য গিয়াসউদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাড লিয়াকত আলী ভুলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুজ্জামান অনু, পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, নগরকান্দা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি বিলাল হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ইয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সালথা উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ উপজ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।