কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী যাদের জন্য ভালো নয়
Published: 25th, January 2025 GMT
সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলাজেন উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কোনো কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করতে গিয়ে কোলাজেন উৎপাদনের উপযোগী পরিবেশ নষ্ট করে ফেলি। ত্বক পরিচর্যায় যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোর বেশিরভাগে কফির উপস্থিতি থাকে। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের স্তরে জমে থাকা ধুলাবালু পরিষ্কার করতে পারে। এতে আছে অম্লীয় উপাদান যা ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপের মুখ খুলে দেয়, ফলে ত্বকও হয়ে উঠে মসৃণ। তবে কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সবার জন্য ভালো নয়, কসমেটোলজিস্টরা কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার সম্পর্কে যে বার্তা দিয়েছেন জেনে নিন।
ভারতীয় কসমেটোলজিস্ট শারিফা চউস বলছেন, ‘‘গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সানস্ক্রিন এবং চোখের নীচে লাগানোর ক্রিমে কফিতে থাকা উপাদান ত্বকের জন্য ভালো। তিনি বলছেন, সরাসরি কফি ত্বকে লাগালে তা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে তৈরি দাগ ছোপ কমাতে পারে। এবং এই উপাদান ত্বকের লালচে ভাব দূর করতে এবং বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে। কারণ কফিতে থাকা ক্লোরোজোনিক অ্যাসিড এবং মেলানয়ডিনস নামের দুইটি উপাদান রয়েছে যেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।’’
তবে কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সবার জন্য উপযোগী নয়। শরিফা বলছেন, ‘‘ ত্বককে সুস্থ রাখার এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জরুরি যে কোলাজেন, তা কফির অতিরিক্ত ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাদের ত্বক শুষ্ক এবং যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের ত্বকে সরাসরি কফি ব্যবহার বা কফি আছে এমন প্রসাধনীর ব্যবহার করা ঠিক নয়।’’
আরো পড়ুন:
নাকের ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর করার উপায়
রৌদ্রস্নাত মিমের নজরকাড়া লুক
যাদের ত্বক শুষ্ক তারা কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী এড়িয়ে চলতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র র জন য র করত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’