কনকনে হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুরের জনজীবন। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। চার দিনেও এজেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না এজেলার মানুষ। থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.

৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬ টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) ৯.৯, সৈয়দপুর ১১.০, রংপুর ১১.৬, ডিমলা (নীলফামারী) ১২.২, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) ১১.৪, বদলগাছি (নওগাঁ) ১০.৯, বগুড়ান১২.২, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১১.২, রাজশাহী ১১.০, বাঘাবাড়ি (সিরাজগঞ্জ) ১১.০ যশোর ১৩.৬ ও চুয়াডাঙ্গায় ১৩.০  ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। 

ঢাকা/মোসলেম/টিপু  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়ি ভাঙচুর

ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলমের পৈতৃক বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাঁরা ওই বাসভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে সেখান থেকে চলে যান তাঁরা। এ সময় কয়েকজনকে পিটুনিও দেন স্থানীয় লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘মার্চ টু মঞ্জুরি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র-জনতা। ঘোষণা অনুসারে বিকেলে অর্ধশত ছাত্র-জনতা সাভারের পাকিজা মোড়ে জড়ো হন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা হেমায়েতপুরের মঞ্জুরুল–ফখরুলের পৈতৃক বাসভবন রাজ মঞ্জুরির সামনে আসেন। পরে তাঁরা সেখানে হ্যান্ডমাইকে দেশ থেকে সব স্বৈরাচারকে বিতাড়ন ও স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। তাঁরা রাজ মঞ্জুরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ভবনের বাইরে একটি অংশে আগুন দিতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন।

একপর্যায়ে ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয় নিয়ে ছাত্র–জনতার সঙ্গে স্থানীয় লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরে সেখানে শতাধিক স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ভাঙচুর করতে আসা ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজনকে ধরে পিটুনিও দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মঞ্জুরুল–ফখরুল কোনো অন্যায় করে থাকলে আইন অনুসারে বিচার হবে। ফাঁসি হোক, জেল হোক সেটি আইনের মাধ্যমে হোক। তাঁরা তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাঙচুর কেন করতে হবে। এখানে আগুন দিলে আশপাশের বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়বে। তাদের বোঝানোর পর কথা না শোনায় আমরা ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। আবারও কেউ এমন কাজ করতে এলে এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করবে।’  

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওরা দেশের জন্য কী করেছে। আজকে এই বাড়িতে আগুন দিতে আসছে। এখানে আগুন দিলে এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়বে। আমরা এটা হতে দেব না। তাই তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।’

সামগ্রিক বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নেতৃত্বে দেওয়া এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজিবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এর মধ্যে মঞ্জুরুলের আত্মীয়স্বজন ও পেটুয়া বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ২-৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ