প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিবার নিয়ে ইন্ডিয়া ডট কমের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে তার প্রেস উইং।

প্রেস উইং তাদের যাচাই করা ফেসবুক পেজ- সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিবেদনটি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, তার পরিবারের সদস্যদের এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ভারত-পরিকল্পিত প্রচারণার অংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ড.

ইউনূস হিলারি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে কোনো অর্থ অনুদান দেননি, যেমনটি ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।  

প্রতিবেদনটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতিতে বলা হয়, ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তার মেয়ে মনিকা ইউনূসকে কোনো সুবিধা দেয়নি এবং তিনি কখনোই জো বাইডেনের প্রশাসনে কোনো পদে ছিলেন না।

বিবৃতিতে বলা হয়, হিলারি ক্লিনটন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ড. ইউনূস লাখ লাখ ডলার ঋণ পেয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে প্রকাশিত বক্তব্যও মিথ্যা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের কোনো ঋণ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তে ড. ইউনূসের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ঢাকা/হাসান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ