দাভোসেও শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
Published: 25th, January 2025 GMT
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে গত বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী দেশগুলোসহ কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মিত্রদের ওপরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি ব্যবসার প্রতি আমার বার্তা খুব সাধারণ; আসুন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পণ্য তৈরি করুন এবং আমরা আপনাকে বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে সর্বনিম্ন কর দেওয়ার সুযোগ করে দেব। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য তৈরি না করলে আপনাকে শুল্ক দিতে হবে। বিভিন্ন পরিমাণ হতে পারে, তবে শুল্ক দিতেই হবে।’
ডব্লিউইএফের ভাষণে সৌদি আরব ও পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের প্রতি তেলের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। পরদিনই বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম।
এদিনের বক্তব্যে স্বল্প সুদহারের ওপর জোর দেন ট্রাম্প। কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিন্তা আছে বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে কানাডার সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, দেশটি অনেক সুযোগের অপব্যবহার করে। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা কোম্পানিগুলোর জন্য তিনি কর হ্রাস করবেন ও যারা বিনিয়োগ করবে না, তাদের শুল্ক বাড়াবেন। কর হ্রাসের বার্তায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে এযাবৎকালের রেকর্ড ভেঙে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের সূচক ‘এসঅ্যান্ডপি ৫০০’। ট্রাম্পের করপোরেট কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতিতেই পুঁজিবাজারে এ ইতিবাচক প্রবণতা বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের সূচক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৬,১১৮ দশমিক ৭১-এ শেষ হয়েছে, যা এক নতুন রেকর্ড।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট মুনাফা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁর অঙ্গীকারের মধ্যে আছে বাণিজ্য সংস্কার, কর হ্রাস ও দেশীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিধিবিধানের জটিলতা কমানো। সূত্র: আলজাজিরা ও এএফপি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর হ র স
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’