জেনিন ছাড়ছে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার
Published: 25th, January 2025 GMT
অধিকৃত পশ্চিম তীরে গতকাল শুক্রবারও অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল। এ অবস্থায় জেনিন শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকা থেকে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে। আটক করা হয়েছে ফিলিস্তিনের ২২ বাসিন্দাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন পশ্চিম তীরকে টার্গেট করছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে।
জেনিনের গভর্নর আবু আল রুব এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ড্রোন ও সামরিক যানবাহনে লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির খালি করার নির্দেশ দেয়। এর পরই ক্যাম্পের শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ইসরায়েলের পাবলিক রেডিও জানিয়েছে, ২ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় আইডিএফ পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ইসরায়েলের বাহিনী পশ্চিম তীরজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা জোরদার করেছে। জেরিকো থেকে রামাল্লা পর্যন্ত শহরগুলোতে আরও তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
জেনিন ক্যাম্পের জুরেট আল-ধাহাবপাড়া থেকে পালিয়ে আসা ৬৫ বছর বয়সী সালেহ আম্মার বলেন, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন ১২টি ইসরায়েলি বড় বুলডোজার তারা শহর ধ্বংসের জন্য আনে। ভয় দেখিয়ে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এমনকি ছাদ থেকে স্নাইপার স্থাপন করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী ক্যাম্পটি ধ্বংস করে গাজার জাবালিয়ার মতো করে তুলতে চায়।
এদিকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির পর সেখানে দৈনিক ত্রাণ চাহিদা ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ ট্রাক ছাড়িয়ে গেছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে তাৎক্ষণিক তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। এ বছর ফিলিস্তিনিদের জন্য ৪১০ কোটি ডলারের সহায়তা জরুরি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল শরণ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।