যত্রতত্র পেট্রোল অকটেন বিক্রি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি
Published: 24th, January 2025 GMT
মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও সড়কের পাশে এমনকি চা-মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রোলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। যত্রতত্র পেট্রোল-অকটেন বিক্রির কারণে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড।
মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে জামুর্কী পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন বাজারে অসংখ্য অবৈধ খোলা জ্বালানি তেলের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ বাজার ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর পাশে রয়েছে উন্মুক্ত পেট্রোল-অকটেন বিক্রির দোকান। সব মিলিয়ে উপজেলায় অন্তত দুই শতাধিক অবৈধ খোলা জ্বালানি তেলের দোকান রয়েছে। মুদি দোকানগুলোতে অবৈধভাবে বোতলে ভরে পেট্রোল-অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। ইচ্ছে করলে যে কেউই এসব দোকান থেকে বোতলভর্তি পেট্রোল-অকটেন কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলায় পেট্রোল পাম্প রয়েছে ৯টি। পাম্পগুলো থেকে জ্বালানি কিনে এনে বিক্রি করেন দোকানিরা। মোটরবাইক চালকরা প্রতি লিটার ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে এসব দোকান থেকে জ্বালানি কিনে থাকেন। অনুমোদনহীন এসব দোকান দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পেট্রোল-অকটেন বিক্রি করছে। অথচ অনুমোদন ছাড়া প্রকাশ্যে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। পেট্রোল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দোকানে এক কিংবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল অথবা অকটেন ভরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এসব দোকানে নেই আগুন নির্বাপণ যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। হাটবাজার কিংবা আবাসিক এলাকায় এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠানে তেল ও গ্যাস বিক্রি করবে, তাদের বিক্রির স্থানকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হয়। তেল-গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে মেঝে পাকাসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন। অথচ এসব শর্তের একটিও নেই উপজেলার খোলা তেল ব্যবসায়ীদের। আবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার, পাড়া-মহল্লা, মুদি, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন দোকানে খোলা জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন পেট্রোল-অকটেন বিক্রেতা জানান, উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে শত শত ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল করে। মোটরসাইকেল চালকদের চাহিদার কারণেই পেট্রোল বিক্রি করে থাকেন তারা। পেট্রোল পাম্পের চেয়ে প্রতি লিটারে পাঁচ থেকে দশ টাকা বেশি রাখেন। পেট্রোল পাম্প দূরে হওয়ায় মোটরসাইকেল চালকরা খুশি হয়েই এই বেশি টাকা দেন। আর পেট্রোল বিক্রি করতে যে লাইসেন্স লাগে, সে সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি তাদের। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কখনও এ ব্যাপারে তাদের কিছু বলা হয়নি।
মির্জাপুর ফিলিং স্টেশনের মালিক মো.
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বোতলে করে এভাবে উন্মুক্তভাবে পেট্রোল-অকটেন বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। বিক্রি করতে হলে কিছু নিয়ম আছে এবং বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি লাগে। মির্জাপুরে এ ধরনের অনুমতি কেউ নিয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। তবে এসব স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল র ব ভ ন ন এসব দ ক ন র উপজ ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক