লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর ১১৯তম বার্ষিক ওরস। গতকাল শুক্রবার রাতে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী ও গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদনশীন হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনা করা হয়। 
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, 
কুয়েত, চীন, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত মাইজভান্ডার দরবার শরিফে আসেন। 
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, মাইজভান্ডারী তরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ তরিকার অনুসারীরা ঐশী প্রেমনির্ভর 
শিক্ষা ও ইসলামী শরিয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। 
নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী বলেন, সুফি দর্শন মানবতার শিক্ষায় আলোকিত পথ দেখায়। 
হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী সব অবিচার থেকে মানবজাতিকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তিনি বলেন, গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর সাম্য ও শান্তির আদর্শ আত্মস্থ করতে হবে, চারদিকে পৌঁছে দিতে হবে। 
ওরস উপলক্ষে শাহ এমদাদিয়া ও গাউসিয়া হক মঞ্জিলের ব্যবস্থাপনায় ১০ দিনব্যাপী সেবামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের ওপর হামলা জামায়াত-শিবিরের, আহত ২ 

বিয়ানীবাজারে জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীর হামলার শিকার হয়ে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবুল খয়েরের বাড়িতে আসামি ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে রাখা হয়। খবর পেয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। 

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক সৌরভ ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল পৌর শহরের মাঝ বাজারে মতিন নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন পৌরসভার নয়াগ্রামের জামিল আহমদ। এ ঘটনায় ওই দিন আব্দুল মতিন বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের জামিল আহমদকে। 

গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশের এসআই সৌরভ ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন আসামি জামিল আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে যান। এ সময় পুলিশ জানতে পারে, আসামি জামিল আহমদ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবুল খয়েরের কেয়ারটেকার রুবেল আহমদের ঘরে অবস্থান করছেন। অভিযান চালাতে গেলে আবুল খয়ের তাদের বাধা দেন। বিনা অনুমতিতে অভিযান কেন করা হবে, সেটিও জানতে চান। একপর্যায়ে তিনি উপজেলা জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীকে বিষয়টি জানালে নেতাকর্মীরা আবুল খয়েরের বাড়ি ঘেরাও করে এসআই সৌরভ ও কনস্টেবল দেলোয়ারকে মারধর করেন।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্জামান এবং উপপরিদর্শক (তদন্ত) জুবেদ আলীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে জিম্মিদশা থেকে দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎ চিৎকার শুনে তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান, দুই পুলিশ সদস্য পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির আবুল খয়েরের বাড়িতে বসে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে শত শত লোক এসে জড়ো হন। তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এমনকি মারধরও করেন। পরে জামায়াতের আমির তাদের ভেতরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে থানার ওসি এলে রাত ৯টার দিকে তাদের ছাড়া হয়। শুনেছি, পুলিশ আসামির মোবাইল ট্র্যাকিং করতে করতে জামায়াত নেতার বাড়ি পর্যন্ত চলে আসে। একপর্যায়ে তারা বুঝতে পারে, ওই বাড়ির কেয়াটেকার রুবেলের রুমেই জামিলের অবস্থান। 

এ বিষয়ে পৌর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবুল খয়ের সমকালকে বলেন, তার গাড়িচালক বাড়িতে পুলিশ আসার বিষয়টি তাকে জানান। এর পর তিনি পুলিশ সদস্যদের কাছে তার বাড়িতে আসার কারণ জানতে চান। তখন ওই দুই পুলিশ সদস্য তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সংবাদ পেয়ে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে চলে আসেন। তখন এলাকাবাসী অনেকটা উত্তেজিত হয়ে উঠলে তিনি ওই দুই পুলিশ সদস্যকে তার ঘরে নিরাপদে রাখেন। পরে ঘটনাস্থলে থানার ওসি ও উপপরিদর্শক (তদন্ত) এলে ওই পুলিশ সদস্যরা তার কাছে ভুল স্বীকার করেন। এমনকি তার সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য ক্ষমাও চান। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, উপপরিদর্শক সৌরভ ও কনস্টেবল দেলওয়ারকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন মারধর করেছে। পরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের একটি দল স্থানীয় জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে। 

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান সমকালকে বলেন, আমাদের লোকজন সেখানে অভিযানে গিয়েছিল। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হলে বিকল্প কী, সে পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের
  • নির্বাচ‌নে একক প্রার্থী দে‌বে ৫টি ইসলামি দল
  • পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে, আহত ২ 
  • পুলিশের ওপর হামলা জামায়াত-শিবিরের, আহত ২ 
  • ঢাবিতে ১ বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
  • সিলেটের ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতারা কে কোথায়
  • হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন
  • পৃথিবীর বাদশাহ
  • ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে রিয়াদ গেল ইউএস-বাংলার প্রথম ফ্লাইট