বনের ধারের বাঘ
আফসান বিন আনোয়ার
অনেক দিন আগের কথা। বনের ধারে একটা বাঘ ছিলো। সেই বাঘটা ছিলো অনেক ক্ষুধার্ত। যেই বাঘটা বনের মধ্যে একটা খরগোশ দেখতে পেলো, অমনি খরগোশের জন্য বাঘটা দৌড়ে এলো। তারপর বাঘটা খরগোশটাকে খেয়ে ফেললো! এরপর আরাম করে বিশ্রাম নিতে থাকলো।
বয়স : ২+২+২ বছর; কেজি, বেসিক ক্রিয়েটিভ স্কুল, ঢাকা
রাগী বাঘ মামা
সিদরাতুল মুনতাহা সপ্তর্ষি
এটা তো মনে হচ্ছে বাঘ। তবে তার অনেক রাগ। তাই দাঁত বেরিয়ে গেছে। চোখগুলো দেখো, কেমন ভয়ংকর দেখাচ্ছে।
রাগী বাঘ মামাকে আমি ভয় পাই। তাই ভয়ে ভয়ে তাকে রাঙিয়ে দিলাম!
বয়স : ৩+৩ বছর; কেজি, ডিএপিএস, মিরপুর, ঢাকা
এ তুমি, কে তুমি?
উম্মে নুদার তাহা
এ তুমি, কে তুমি? এলে কোথা থেকে? মনে হয় তোমাকে কোথাও দেখেছি। কিন্তু কোথায়? কোথায়? দাঁত দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি কামড়ে দেবে। এই যে, এতো তাড়াতাড়ি কেউ কি দৌড়ায়? তোমার এই লেজ দেখে আমি ভাবলাম, বুঝি সাপ। কিন্তু না। একটু ভালো করে তাকিয়ে বুঝে গেলাম এটি লেজ। আর হ্যাঁ তোমার নামটা কি একটু বলবে?
তাহা কোন শ্রেণিতে পড়ে তা লিখতে ভুলে গিয়েছে। তবে সে সাভারের হলি সোল আইডিয়াল স্কুলে পড়ে
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।