গেলো ডিসেম্বরের ২০ তারিখ রাতে বাসে করে ঢাকা থেকে নীলফামারীতে যাই। আমার ছোট ভাই আয়মান যেতে পারেনি। কারণ দাদুর বাড়িতে তখন খুব শীত। তাই আমি, বাবা, মেজো ভাই আফসান ও আমার চাচাতো ভাই ইথেন ভাইয়াসহ রওনা দিই। বাসে আমার ঘুম আসছিলো না। অনেকক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে নীলফামারী পৌঁছাই। আমার দাদুর বাড়ি টুপামারী। নীলফামারী শহর থেকে দূরে। দাদুর শহরের বাসায় সকালের নাশতা খেয়ে একটু টিভি দেখি। তারপর দুপুরের ভাত খেয়ে বাইরে বসে রোদ পোহাই। তারপর দাদুবাড়িতে রওনা দিই। সেখানে গিয়ে গোসল করে চাচাতো বোন বুশানের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করি। তারপর আমার সবচেয়ে প্রিয় মোয়া আর দুধ খাই। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলা করি। দাদি মোয়া, খই, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও ঝাল পিঠা তৈরি করেছেন। চাচি কালো ধানের পোলাও এবং মুরগির মাংস রান্না করেছেন। বাবা বলেন, এটি হচ্ছে কালো ধান। এই ধান দেখতে কালো। কালো ধানের পোলাওগুলো আঠালো হয়। খেতেও মজা। রাতে আমি ব্যাডমিন্টন খেলি। খেলার সময় শিয়ালের ডাক শুনতে পাই।
গ্রামের মানুষ যখন চুলায় ধান সেদ্ধ করে তখন তার ভেতর ডিম দিয়ে দেয়– যাতে ধানের সঙ্গে ডিমও সেদ্ধ হয়ে যায়। রাতে ঘুমানোর সময় আমি, শিল্পী ফুপি, সোপান ভাইয়া ও বুশান এক খাটে ঘুমাই। পরের দিন নদীতে যাই। নদীর পানিতে খেলে বাসায় ফিরে আসি। ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসি। দাদুর বাড়ি আমার খুব পছন্দ। আমি আবার দাদুর বাড়ি যেতে চাই।
বয়স : ২+২+৩ বছর; প্রথম শ্রেণি, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ