Samakal:
2025-01-31@12:10:39 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 24th, January 2025 GMT

ছড়া কবিতা

মুকুল শাহরিয়ার 
স্বার্থহীন সঙ্গী

গোসল এবং ঘুম ছাড়া আর
যেটুক সময় বাকি–
খোকাবাবুর সঙ্গে সে যে
থাকবে পাকাপাকি।

ইশকুল বা খেলার মাঠেও
সে হয়ে যায় সাথী–
তাকে ছাড়া ঠিক মতো কি
লাগবে বলে লাথি!

তাকে ছাড়া রাস্তা-ঘাটে
খুব মসিবত হাঁটা
খেতে গেলে গলাতে ঠিক
ফুটবে মাছের কাঁটা!

সবকিছুতে লাগছে, তবু
তার চাওয়া নেই কিছু–
সর্বদা সে সামনে থাকে
খোকা যে তার পিছু!

নাকের উপর চেপে বসে
দুই পা দিয়ে কানে
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যারাতেও
সে থাকে ওই খানে।

কে বলো তো সঙ্গী এমন
স্বার্থ ছাড়াই চলে–
পারছো নাতো? বলছি শোনো
‘চশমা’ তাকে বলে।  

 

 

উৎপলকান্তি বড়ুয়া 
মায়ের হাসি

খোকন পড়ে ছড়াটা তো
ছন্দে সুরে ভরা তা-তো।
খাতার পাতা রোল টানা
পুতুলের মুখ গোলটা না?
দাদুর ছাতা বড়োটা না
নদীর পারে ঘর ওটা না?

জায়গার নাম-দারোটানা
এখন দুপুর বারোটা না?
ঘুঘু ডাকে– কা কা তো না!
কেউ কি ফিরে তাকাতো না?
কই–পড়া কর মুখস্থ তো
আড়ালে তুই লুকস্ ততো!

‘না না, তা না! এই তো আসি
আঁকছি মায়ের মুখের হাসি।’
 

 

মজনু মিয়া 
ভূত দেখেছি

মামার বাড়ির বট গাছে এক ভূত থাকে
মধ্য রাতে যায় না থাকা হাঁক-ডাকে!
জাগনা পেয়ে যেই উঠেছি ঘোর রাতে
চেয়ে দেখি বট গাছে সেই ভূত ‘মাতে’!
মাথা ভরা লম্বা লম্বা চুলে
তাকিয়ে থাকে বুকে থাকা চোখগুলো সে খুলে
হাঁ-করতেই মুখ দিয়ে বের হয় আগুন
পা দুটো তার মাটির সাথে দেখতে যেন ফাগুন!
চেঁচিয়ে উঠে–মা মা ডেকে যেই না গেলাম ঘরে 
বিকট আওয়াজ করলো ভূতে; যাচ্ছি আমি মরে! 
তড়িঘড়ি মা এসে কয়– আমার কাছে আয়
ডাকলি না কেন্ আমায় রে বাপ ভূত দেখেছিস; হায়!

 

কামাল হোসাইন  
ভালো থাকার রসদ

ডাকছে পাখি কিচিরমিচির ফুটছে কতো ফুল
ভোর হয়েছে সবাই ওঠো, নাচছে নদীর কূল
আঁধার কেটে আলোর পরশ দূরে দেখা যায়
মন জুড়োবে প্রাণ জুড়োবে মইঠালি হাওয়ায়।

শাদা শাদা শিশিরদানা শরীর ছুঁয়ে যাবে
ঠান্ডা হাওয়ায় নতুন করে শক্তি খুঁজে পাবে।
দূরে তাকাও, ফরসা আকাশ দেখো আপনমনে 
ভালো লাগায় নাচবে হৃদয় বুঝবে ক্ষণে ক্ষণে। 

ঝিরিঝিরি বাতাস লেগে গাছের পাতা জাগে
হয়তো তুমি আর দেখোনি এমনটা এর আগে।
করবে আকুল ফুলগুলো তার ব্যাকুল করা বাসে
খালি পায়ে হাঁটতে থাকো নরম কোমল ঘাসে।

সারাটাদিন ভালো থাকার রসদ পাবে খুঁজে 
তাই থেকো না ঘরের কোণে মুখটা তোমার গুঁজে।

 

রুবেল হাবিব 
ছড়ার কথা

একটি ছেলে ছড়ায় খেলে
ছড়ায় ভাসায় নাও
ঢেউয়ের তালে নায়ের পালে
দিচ্ছে ছড়ায় বাও।
 
ঘুরছে ছড়ায় বসুন্ধরায়
সবুজ শ্যামল বনে
ছড়ায় দেখে ছড়ায় লেখে
ছড়ায় থাকে রণে।

আকাশ জুড়ে চাঁদ ও তারায়
ছন্দ ছড়ায় পথ যে মাড়ায়
তালের তালে সুরে
গাছের সাথে ছড়ার কথা
লতায় পাথায় ছন্দ পোতা
বন বাদাড় সব জুড়ে।

সেই ছেলেটির ঘরের ভিতর
আওয়াজ উঠে খাবার কি তোর,
ছড়ায় এনে দেয়?
বলছে সে তো– একটি ছড়া
মিটায় ক্ষুধা জীর্ণজরা
দুঃখটা কেড়ে নেয়।
 
ছড়া চলে ছড়ার বেগে
ছড়া বলে ধরার থেকে
অসংগতির ব্যথা,
ছড়া গড়ে স্বপ্ন দেখার
ছড়া লড়ে রত্ন আঁকার
ভীষণ গতির কথা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ