Samakal:
2025-03-03@20:10:46 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 24th, January 2025 GMT

ছড়া কবিতা

মুকুল শাহরিয়ার 
স্বার্থহীন সঙ্গী

গোসল এবং ঘুম ছাড়া আর
যেটুক সময় বাকি–
খোকাবাবুর সঙ্গে সে যে
থাকবে পাকাপাকি।

ইশকুল বা খেলার মাঠেও
সে হয়ে যায় সাথী–
তাকে ছাড়া ঠিক মতো কি
লাগবে বলে লাথি!

তাকে ছাড়া রাস্তা-ঘাটে
খুব মসিবত হাঁটা
খেতে গেলে গলাতে ঠিক
ফুটবে মাছের কাঁটা!

সবকিছুতে লাগছে, তবু
তার চাওয়া নেই কিছু–
সর্বদা সে সামনে থাকে
খোকা যে তার পিছু!

নাকের উপর চেপে বসে
দুই পা দিয়ে কানে
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যারাতেও
সে থাকে ওই খানে।

কে বলো তো সঙ্গী এমন
স্বার্থ ছাড়াই চলে–
পারছো নাতো? বলছি শোনো
‘চশমা’ তাকে বলে।  

 

 

উৎপলকান্তি বড়ুয়া 
মায়ের হাসি

খোকন পড়ে ছড়াটা তো
ছন্দে সুরে ভরা তা-তো।
খাতার পাতা রোল টানা
পুতুলের মুখ গোলটা না?
দাদুর ছাতা বড়োটা না
নদীর পারে ঘর ওটা না?

জায়গার নাম-দারোটানা
এখন দুপুর বারোটা না?
ঘুঘু ডাকে– কা কা তো না!
কেউ কি ফিরে তাকাতো না?
কই–পড়া কর মুখস্থ তো
আড়ালে তুই লুকস্ ততো!

‘না না, তা না! এই তো আসি
আঁকছি মায়ের মুখের হাসি।’
 

 

মজনু মিয়া 
ভূত দেখেছি

মামার বাড়ির বট গাছে এক ভূত থাকে
মধ্য রাতে যায় না থাকা হাঁক-ডাকে!
জাগনা পেয়ে যেই উঠেছি ঘোর রাতে
চেয়ে দেখি বট গাছে সেই ভূত ‘মাতে’!
মাথা ভরা লম্বা লম্বা চুলে
তাকিয়ে থাকে বুকে থাকা চোখগুলো সে খুলে
হাঁ-করতেই মুখ দিয়ে বের হয় আগুন
পা দুটো তার মাটির সাথে দেখতে যেন ফাগুন!
চেঁচিয়ে উঠে–মা মা ডেকে যেই না গেলাম ঘরে 
বিকট আওয়াজ করলো ভূতে; যাচ্ছি আমি মরে! 
তড়িঘড়ি মা এসে কয়– আমার কাছে আয়
ডাকলি না কেন্ আমায় রে বাপ ভূত দেখেছিস; হায়!

 

কামাল হোসাইন  
ভালো থাকার রসদ

ডাকছে পাখি কিচিরমিচির ফুটছে কতো ফুল
ভোর হয়েছে সবাই ওঠো, নাচছে নদীর কূল
আঁধার কেটে আলোর পরশ দূরে দেখা যায়
মন জুড়োবে প্রাণ জুড়োবে মইঠালি হাওয়ায়।

শাদা শাদা শিশিরদানা শরীর ছুঁয়ে যাবে
ঠান্ডা হাওয়ায় নতুন করে শক্তি খুঁজে পাবে।
দূরে তাকাও, ফরসা আকাশ দেখো আপনমনে 
ভালো লাগায় নাচবে হৃদয় বুঝবে ক্ষণে ক্ষণে। 

ঝিরিঝিরি বাতাস লেগে গাছের পাতা জাগে
হয়তো তুমি আর দেখোনি এমনটা এর আগে।
করবে আকুল ফুলগুলো তার ব্যাকুল করা বাসে
খালি পায়ে হাঁটতে থাকো নরম কোমল ঘাসে।

সারাটাদিন ভালো থাকার রসদ পাবে খুঁজে 
তাই থেকো না ঘরের কোণে মুখটা তোমার গুঁজে।

 

রুবেল হাবিব 
ছড়ার কথা

একটি ছেলে ছড়ায় খেলে
ছড়ায় ভাসায় নাও
ঢেউয়ের তালে নায়ের পালে
দিচ্ছে ছড়ায় বাও।
 
ঘুরছে ছড়ায় বসুন্ধরায়
সবুজ শ্যামল বনে
ছড়ায় দেখে ছড়ায় লেখে
ছড়ায় থাকে রণে।

আকাশ জুড়ে চাঁদ ও তারায়
ছন্দ ছড়ায় পথ যে মাড়ায়
তালের তালে সুরে
গাছের সাথে ছড়ার কথা
লতায় পাথায় ছন্দ পোতা
বন বাদাড় সব জুড়ে।

সেই ছেলেটির ঘরের ভিতর
আওয়াজ উঠে খাবার কি তোর,
ছড়ায় এনে দেয়?
বলছে সে তো– একটি ছড়া
মিটায় ক্ষুধা জীর্ণজরা
দুঃখটা কেড়ে নেয়।
 
ছড়া চলে ছড়ার বেগে
ছড়া বলে ধরার থেকে
অসংগতির ব্যথা,
ছড়া গড়ে স্বপ্ন দেখার
ছড়া লড়ে রত্ন আঁকার
ভীষণ গতির কথা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ