Samakal:
2025-03-03@14:13:00 GMT

পেঁপে চাষে লাভবান কৃষক

Published: 24th, January 2025 GMT

পেঁপে চাষে লাভবান কৃষক

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়া। স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই গ্রামে বসবাস করেন তিনি। পেশায় একজন ভালো ও পরিশ্রমী কৃষক। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি জমি লিজ দেওয়ার ব্যবসা করেন। বড় ছেলের বয়স ১৫ এবং ছোট ছেলের ছয়। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বড় ছেলে। ছোট ছেলে স্কুলে ভর্তি হয়নি। নান্নু মিয়া জানান, ৪০ হাজার টাকা খরচ করে পেঁপের চাষ করে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লাভ করেছেন।
জানা গেছে, পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রোগ্রামস ফর পিপলস ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) বেড়া শাখার আওতায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। নান্নু মিয়া প্রতি বছরই লোকাল জাতের মরিচ, গো-খাদ্য ঘাস, পুঁইশাকসহ শাকসবজি চাষ করতেন। সমন্বিত কৃষি ইউনিটের এক কর্মকর্তা তাঁকে পিপিডি সম্পর্কে জানান এবং প্রথম অবস্থায় করমজা পূর্বপাড়া মহিলা সমিতিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর তাঁকে উচ্চমূল্যের ফল, সবজি এবং পেঁপে চাষের জন্য বলা হলে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। 
নান্নু মিয়ার বাড়িতে দুটি গরু আছে। এরপর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মাধ্যমে তাঁকে উন্নত ও আধুনিক জাতের পেঁপে (টপলেডি) জাতের ৩০০টি চারা, জৈব ও রাসায়নিক সার, জৈব বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। পেঁপে চাষের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে পুঁইশাকের আবাদ করেন তিনি। নান্নু মিয়া দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকার পাকা পেঁপে এবং সাথি ফসল হিসেবে পুঁইশাক বাজারে বিক্রি করেন। চাষ করতে তাঁর মোট খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। 
নান্নু মিয়া বলেন, ‘এই নতুন ধরনের ফসল এর আগে কখনও আবাদ করিনি। এই ফসলে দ্রুত ফল ধরে। সবজি এবং ফল দু’ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা পেঁপের বাজার মূল্য অনেক বেশি।’ 
পিপিডির কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, ‘করমজা পূর্বপাড়া বায়া গ্রামে দিন দিন পেঁপে চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। তবে কৃষকরা শুধু সবজি হিসেবে পেঁপে চাষ করছেন। বর্তমানে টপলেডি জাতের পেঁপে পাকা ফল ও সবজি দুই-ই বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।’ v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে’ উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিতে ‘মৌলিক পরিবর্তনের ঘটনায়’ গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, জনগণকে ‘বিভক্ত ও প্রতারিত’ করতেই নানা বিভাজনমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে।

আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এক বক্তৃতায় ফলকার টুর্ক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার বিষয়ে গত কয়েক দশকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের সমর্থন পেয়েছিলাম।...কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতি মৌলিকভাবে দিক পরিবর্তন করেছে। এটা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ফলকার টুর্কের অভিযোগ, ‘মানুষকে বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে যেসব নীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল, এখন সেই সব নীতিকেই বৈষম্যমূলক তকমা দেওয়া হচ্ছে।...জনগণকে বিপর্যস্ত, প্রতারিত এবং বিভক্ত করতেই এসব বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে। এসব কিছু অনেকের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি করছে।’

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর অনেক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বেসরকারি খাতের নানা কর্মসূচি বাতিল, স্থগিত বা সংকুচিত করেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র না থাকায় এই কাউন্সিল কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তা নিয়ে আজ জোরালো মন্তব্য করেছেন ফলকার টুর্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে তাঁর প্রশাসন ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে’ নীতির সঙ্গে সংস্থাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ