ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের অপারেশন অ্যালার্ট
Published: 24th, January 2025 GMT
ভারতজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হবে আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে ১০ দিনের মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপস অ্যালার্ট’।
বিএসএফের বিবৃতি অনুসারে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে ভারতের। ২২ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন সীমান্ত বরাবর অপারেশন অ্যালার্ট চালানো হবে। মূলত নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমান্ত ফাঁড়িগুলোকে শক্তিশালী করতে এই মহড়া শুরু হয়েছে। ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ চলাকালীন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহল এবং অন্য মহড়া সম্পর্কিত কার্যকলাপ আরও জোরদার করা হবে।
বিএসএফের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবি গান্ধী জওয়ানদের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং কৌশলগত মোতায়েন তদারকির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। সীমান্ত এলাকায়, বিশেষ করে রিভারাইন ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় বাহিনীকে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রবি গান্ধী।
৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্কে নানা ইস্যুতে শীতলতা এসেছে। তার আঁচ পড়েছে সীমান্তেও। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, কোচবিহার, মালদহসহ কয়েকটি জেলায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। নয়াদিল্লিতে আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা, বর্ডার লাইনের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বা কোনো নির্মাণকাজ নিয়ম মেনে করা, ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।