‘ব্যক্তিগত কারণে’ ইমনের টাকা আটকে রেখেছে চিটাগং কিংস
Published: 24th, January 2025 GMT
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম পেরিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আবার গড়াবে রাজধানীতে। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগটি শেষের দিকে যত ছুটছে তত বাড়ছে ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে ঝামেলা।
চিটাগং কিংসের দেশি ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমন এখন পর্যন্ত ১ টাকাও পাননি। দুই-দুইবার ব্যাংক থেকে ফেরত এসেছেন এই ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সামির কাদের চৌধুরীও রাইজিংবিডি ডটকমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছে, ইমনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে সামির কাদের বলেন, “ও আমাদের এখান থেকে দুই-তিন দিনের ছুটি নিয়ে গেছে। ওর পেমেন্ট দেওয়া হয়নি এটাও আমি বলছি। একটা ব্যক্তিগত বিষয়ে ওর পেমেন্ট আটকে রেখেছি। ওর সাথে আলোচনার ব্যাপার আছে। বাকি ও কেন আসেনি আপনারা ওকে জিজ্ঞেস করেন।”
আরো পড়ুন:
বিতর্কে শেষ হলো বিপিএলের চট্টগ্রামের পর্ব, প্লে’অফের দৌড়ে কারা?
খুলনার প্রতিশোধে শেষ বিপিএল চট্টগ্রাম পর্ব
সেই কারণ কি? ক্রিকেটারের সম্মানহানি হবে বলে নির্দিষ্টভাবে কোনো কারণ বলতে চাননি সামির কাদের, “বিষয়টা আমার আগে প্লেয়ারের সাথে আলোচনা করতে হবে। আচরণবিধি, শৃংখলাভঙ্গ যেকোনো বিষয় হতে পারে।
“ইমন বলেছে ‘সবাই পেমেন্ট পেয়েছে আমি কেন পেলাম না?’ আমি তখন বললাম, নিশ্চয় কোনো কারণ আছে। পেমেন্ট দিতে কোনো আপত্তি নেই, বোর্ডের সঙ্গে আলাপ আছে, আপনার সঙ্গে আলাপ আছে। অবশ্যই আমি পেমেন্ট দিব।’’ -আরও যোগ করেন সামির কাদের।
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যম ইমন বিপিএলের বাকি ম্যাচ খেলতে আর ঢাকায় ফিরবে না বলে সংবাদ প্রচার করলেও সেটি অস্বীকার করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে, “ও আমার কাছে অস্বীকার করে যাচ্ছে। সে বলেছে এমন কিছু বলেনি, কাল আসবে ঢাকায়, সরাসরি কথা বলবে।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ইমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে রাইজিংবিডি ডটকম। তবে কোনো সাড়া দেননি। পরবর্তীতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে জানান ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি।
“লম্বা গ্যাপ থাকায় দুই দিনের ছুটিতে আছি, কোচ ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ছুটি নিয়েছি। টিম ছেড়ে চলে গিয়েছি এমন কথার কোন ভিত্তি নেই, এমনটা কোথাও বলিনি। দেখা হবে মাঠে।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ