Samakal:
2025-03-03@21:27:14 GMT

কক্ষ ও বেঞ্চ সংকট পড়ালেখা মাঠে

Published: 24th, January 2025 GMT

কক্ষ ও বেঞ্চ সংকট পড়ালেখা মাঠে

শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আকলাশ শ্যামপুর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে। কখনও কখনও রোদ-বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়।
জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে আলমপুর ইউনিয়নে আকলাশ শ্যামপুর শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থান। ১৯৪৫ সালে শ্যামপুর গ্রামের শফিরউদ্দিন মণ্ডলের দান করা ৩৩ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ম্যানেজিং কমিটির উদ্যোগে মাটির দেয়াল দিয়ে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। মাটির সেই কক্ষগুলো কোনো রকমে মেরামত করে পাঠদান চলছিল। ১৯৯৪ ও ২০১০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে ১১ কক্ষের দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ৬টি কক্ষ অফিস কক্ষ, শিক্ষক কক্ষ, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রী কমন রুম ও বিজ্ঞানাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্য কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এক বছর ধরে পাঁচটি কক্ষে গাদাগাদি করে বসে লেখাপড়া করছিল শিক্ষার্থীরা। স্থান সংকুলান না হয়ে মাঠেও চলে কয়েকটি শ্রেণির পাঠদান। শ্রেণিকক্ষের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়টিতে রয়েছে বেঞ্চ ও টেবিলের সংকটও। 
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহাদ হোসেন জানায়, পুরোনো ক্লাসে বসার জায়গা হয় না। এক বছর ধরে কক্ষের বাইরে মাঠে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। বেঞ্চ না থাকায় মাটিতে বসতে হয়। এতে বই, খাতা, পরনের কাপড়ে ধুলাবালি জমে ময়লা হয়। এভাবে স্কুলে এসে পড়ালেখা করতে মন চায় না। 
সহকারী শিক্ষক শফিকুল আলম শফিক বলেন, বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান ভালো। সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে। অথচ অবকাঠামো কম। খোলা মাঠে পাঠদান করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীত, বর্ষা, তীব্র রোদে লেখাপড়ায় মন বসাতে পারে না শিক্ষার্থীরা। এ কারণে অভিভাবকদের কথা শুনতে হয়। ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। এ দাবি পূরণ না করলে শিক্ষার মান ধরে রাখা যাবে না।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান জোয়ারদার বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেবে আরও কক্ষের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে রয়েছে বেঞ্চ-সংকট। কক্ষের অভাবে মাঠে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছি। সংকটের বিষয়টি জেলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। কোনো সমাধান হয়নি। 
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জেলাভিত্তিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য চাহিদাপত্র পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ শ ক ষ র থ ভবন ন র ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। তবে এখন অভিনয়ে নেই। নানা ইস্যুতে আছেন আলোচনায়। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় ‘চাচা, হেনা কোথায়?’  সংলাপটি কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ সংলাপকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। সংলাপ ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন

কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। নিজের মানসম্মান নিয়ে বেঁচে আছি। সবাই আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসা নিয়েই জীবন চলে যাচ্ছে। 

হঠাৎ করে ভাইরাল হলো ‘‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি, এটার সঙ্গে তো আপনিও আলোচনায় এলেন...
দেখুন, ফিল্ম অনেক বড় বিষয়। প্রায় তিন দশক আগেও একটি সিনেমার ডায়ালগ নিয়ে মানুষ এখনও আলোচনা করছে। ‘চাচা, হেনা কোথায়? তার একটি দৃষ্টান্ত। গত এক মাস হলো আমি শুধু দেখছি, কীভাবে এটা পুরো দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। এটার দ্বারা প্রমাণ হয়, ভালো সিনেমা, ভালো সংলাপ ও ভালো শিল্পী কতটা দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী বাপ্পারাজ-শাবনাজসহ পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই। শাবনাজ যেহেতু এখন আমার জীবনসঙ্গী। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আলোচনায়।

বাপ্পারাজ-শাবনাজ জুটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
এটা তো পুরো দেশের মানুষের জানা। বাপ্পারাজের মতো অভিনেতা পাওয়া কঠিন। আমার স্ত্রী হিসেবে বলব না, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমাসহ সব সময়ই ও ভালো অভিনয় করেছে। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তারা দু’জনই এককথায় অসাধারণ অভিনয়শিল্পী। 

দর্শক তো এখনও আপনাকে অভিনয়ে চায়। অভিনয়ে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আছে?
সেটা নির্ভর করবে নির্মাতা ও প্রযোজকের ওপর। তারা যদি আমার ইমেজ, স্টাইল ও প্রেজেন্টেশন নিয়ে ভেবে গল্প বানান আর আমার যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই করব। একটা সময় আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। তবে আমি কখনও বলিনি যে, আমি অভিনয় করব না কিংবা সিনেমা নির্মাণ করব না। এখনও আমার ইচ্ছে করে ভালো গল্প নিয়ে একটা সিনেমা বানাব। সিনেমা তো আমার ভেতরে। আমি তো কাজ করতে চাই। ক্যামেরার পেছনে বা সামনে; একটা সময় অবশ্যই আমি করব। তবে সময়টা বলতে পারছি না। 

আমাদের সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কী? 
অনেক ধরনের মানুষ নিয়ে একটা সিনেমা বানাতে হয়। এখানে নির্মাতা, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ অনেক বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করতে হয়। একটা  ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে কীভাবে; এটা নিয়ে আমার একটা চিন্তা থাকতে পারে। আমার একার উদ্যোগ বা চিন্তা দিয়ে হবে না। এ ক্ষেত্রে সবার সমান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। তা হলে একটা ইন্ডাস্ট্রি আপনা আপনিই এগিয়ে যাবে।

আপনি তো সাংস্কৃতিক পরিবারের ছেলে...
হ্যাঁ, আমি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। উপমহাদেশে ১৯৩৮ সালে কিন্তু ঢাকার নবাব পরিবার থেকেই প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। তখন আমাদের পরিবার থেকেই ছিল নির্মাতা, নায়ক ও ক্যামেরাম্যান। অর্থাৎ আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, এটা ছিল একটা সাংস্কৃতিকমনা পরিবার।

সিনেমা হল সংকট নিয়ে কী বলবেন?
আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে তো দর্শক সিনেমা হলে আসবে। ভালো সিনেমা না বানিয়ে দর্শকদের বলব আপনারা হলে আসছেন না কেন? এটা তো ঠিক না। আগে আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে দর্শক সিনেমা হলে আসবে। হল এমনিতে বাড়বে। এখানে সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কারও একার প্রচেষ্টায় হবে না।

সিনেমার স্বর্ণযুগ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। ‘না’ বলে আমার কাছে কথা নেই। তবে টাইম লাগে। সবাই মিলে একযোগ হয়ে যদি একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সব সম্ভব।

ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন কিন্তু আপনি গ্রামে চলে গেলেন কেন?
ঢাকায় আমার দাদার বাড়ি আর টাঙ্গাইল নানার বাড়ি। ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। গ্রামের মাটির সঙ্গে তো প্রতিটা মানুষ জড়িত। আমরা বিভিন্ন বিভাগের মানুষ। কর্মজীবনে আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে আমরা কীভাবে বাড়ি চলে যায়! তো কোনো সময় আমি চিন্তাও করিনি যে বিদেশে স্থায়ী হবো। সব সময় ভেবেছি, এ দেশেতে আমার জন্ম, এ দেশের মাটিতে যেন আমার মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘুমের ভেতর পায়ে অস্থিরতা
  • নানার ৫শ টাকা নেওয়ায় বকুনি, অভিমানে লুকানো শিহাব মারা গেল বস্তাচাপায়
  • স্ত্রী-শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বর্ণালংকার-ফোন নিয়ে লাপাত্তা সামিউল
  • কেন মেয়ের সব ছবি মুছে ফেললেন আলিয়া
  • ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারেন ট্রাম্প
  • কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম
  • ‘যদি’ ‘কিন্তু’ ‘অথবা’ ছাড়াই ভুল সংশোধন করে নেব: হাসনাত আবদুল্লাহ